ওয়েব ডেস্ক: বাঙালির মননে আজও মহানায়ক (Mahanayak) বলতে ভেসে আসে শুধু একটিই নাম। তিনি উত্তমকুমার (Uttam Kumar)। বাংলার চলচ্চিত্রের আঙিনায় নায়ক আসেন, নায়ক যান, কিন্তু উত্তমকুমার (Uttam Kumar) রয়ে যান। তাই তো সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Roy) মতো পরিচালকের মুখে শোনা গিয়েছিল, “উত্তমকুমার শুধু একজন অভিনেতা নয়, তিনি ছিলেন একটি জাদু।” সত্যি, একবারে যথার্থ বলেছিলেন ‘মহারাজা’। হৃদয়স্পর্শী অভিনয়ের জাদুতে উত্তমকুমার মুগ্ধ করেছিলেন দর্শকদের। আজও তাঁর অভিনীত ‘হারানো সুর’ এর ম্যাজিকে এক অন্য জগতে হারিয়ে যান দর্শকরা। তবে আচমকা সিনেপ্রেমীদের কাঁদিয়ে ১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই রাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মহানায়ক। আজ বৃহস্পতিবার মহানায়কের ৪৫তম প্রয়াণ দিবস (45th Death Anniversary)। এদিন সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে মহানায়ককে শ্রদ্ধা জানালেন।
তিনি লিখেছেন, মহানায়ক উত্তমকুমারের মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁকে জানাই আমার অন্তরের শ্রদ্ধা। আমাদের সবার মনের মণিকোঠায় আজও উত্তমকুমার বাঙালির চিরন্তন ম্যাটিনি আইডল। তাই তাঁর মৃত্যুর পর ৪৫ বছর কেটে গেলেও, তাঁর প্রতি অনুরাগ আমাদের কিন্তু এতটুকুও কমেনি।” মুখ্যমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বার্তায় উঠে এসেছে ‘মহানায়ক সম্মান পুরস্কার’ এর প্রসঙ্গও। তাঁর কথায়, আমি গর্বিত, সিনেমায় ও বাঙালি মননে উত্তমকুমারের অনন্য অবদানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের সরকারই ২০১২ সাল থেকে বিশিষ্ট অভিনেতা-অভিনেত্রীদের স্বীকৃতি জানানোর জন্য মহানায়ক সম্মান পুরস্কার চালু করেছে।”
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে রোগী মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা
মুখ্যমন্ত্রী রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর উদ্যোগেই যে মেট্রো রেলস্টেশনের নাম ‘মহানায়ক উত্তমকুমার’ রাখা হয়েছিল সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। তিনি জানান, “আমি রেলমন্ত্রী থাকার সময়ই টালিগঞ্জ মেট্রো রেলস্টেশনের নাম পাল্টে রাখা হয় ‘মহানায়ক উত্তমকুমার’। তাঁর নামাঙ্কিত ‘উত্তম মঞ্চ’-কেও নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। উত্তমকুমার বাঙালির স্বপ্নের মহানায়ক–চিরকালীন ভালোবাসা। তাঁর মৃত্যুদিনে আমি আর একবার তাঁকে আমার প্রণাম জানাই।”
দেখুন অন্য খবর