কলকাতা: প্রজাতন্ত্র দিবসের (Repbulic Day) দিন সংবিধান প্রণেতা (Constitution maker) বাবা সাহেব আম্বেদকরকে (Baba Saheb Ambedkar) অপমান। অবমাননা রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Rabindra Bharati University) অস্থায়ী উপাচার্য (InterimViceChancellor) শুভ্র কমল মুখোপাধ্যায়ের (Subhra KamalMukhopadhyay) ।
রবীন্দ্র ভারতীর বিটি রোড ক্যাম্পাসে তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বাবা সাহেব আম্বেদকর যে সংবিধান রচনা করে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। সংবিধান রচনায় নাকি আম্বেদকরের কোনও ভূমিকায় নেই।
আরও পড়ুন: ঠাকুরবাড়িতে তৈরি হল অল ইন্ডিয়া মতুয়া লিগ্যাল সেল
শুধু তাই নয়, বাবা সাহেব আম্বেদকরকে নাকি একটি উচ্চবর্ণের পরিবার দত্তক নিয়ে নিজেদের পদবি বাবা সাহেবকে দিয়েছিলেন বলে জানান শুভ্র কমল মুখোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে উপাচার্যের এহেন বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
শুভ্র কমল মুখোপাধ্যায় বলেন, একটা কথা প্রচলিত আছে, যে বি আর আম্বেদকর এই সংবিধান রচনা করেছিলেন। এর চেয়ে বড় মিথ্যা কথা আর কিছু নেই। সংবিধান যখন তৈরি হয়, তখন প্রায় ৫০টির মতো কমিটি তৈরি হয়েছিল। তার মধ্যে একটি কমিটি ছিল কনস্টিটিউশন ড্রাফটিং কমিটি। সেখানে সাতজন সদস্য ছিলেন। সেখানে কলকাতা থেকে একজন ছিলেন, তিনি প্রয়াত হন অপরজন ছিলেন তদানীন্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল, তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে সরে যান।
অন্যতম ভূমিকা পালন করেন স্যর বেনেগাল নরসিমা রাউ। সাংবিধানিক বিধানগুলি আঁকার দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। তিনি সেই খসড়া তৈরি করে ড্রাফট কমিটিকে জমা দেন।
সেই ড্রাফ কমিটিতে সাতজন সদস্য ছিলেন। তাঁরা নিজেদের মধ্যে ঠিক করেন ডা. বি আর আম্বেদকরকে চেয়ারম্যান করা হবে।
তবে আম্বেদকর সিডিউল কাস্ট পরিবারের ছেলে, অন্ত্যজ সম্প্রদায়ের ছেলে ছিলেন। এক ব্রাহ্মণ পরিবার ওঁকে দত্তক নেয়, নিজের পদবি ওঁনাকে দেয়। ওঁনার পুরো পড়াশোনার খরচ বহন করে। আম্বেদকরকে চেয়ারম্যানের পদে বসানো হয়। ড্রাফট চূড়ান্ত হয়। তখন কিন্তু কোনও নির্বাচিত সরকার ছিল না।
দেখুন অন্য খবর: