ওয়েব ডেস্ক: হুগলির নার্সের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত ঘিরে উত্তেজনা। কলকাতা মেডিক্যালেরকলকাতা মেডিক্যালের সামনে সিপিএম-বিজেপির বিক্ষোভ (CPIM-BJP Protest)। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। হাসপাতালের মর্গের সামনে স্লোগান বিক্ষোভ। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। জোর করে দেহ কলকাতা মেডিক্যালে পাঠানোর অভিযোগ। কমান্ড বা এইমসে হাসপাতালে ময়নাতদন্তের দাবি মৃতা নার্সের পরিবারের।
স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে রণক্ষেত্র কলকাতা মেডিক্যালের মর্গ চত্বর। নার্সের দেহ নিয়ে চরম সংঘর্ষ সিপিএম-বিজেপির। আজ শুক্রবার শ্রীরামপুরের ওয়ালশ হাসপাতাল থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নার্সের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। দেহ আসতেই মর্গ চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বিজেপি ও সিপিএমের নেতারা। ময়নাতদন্ত কোথায় হবে তা নিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে দুই দল। দুই দলের অভিযোগ, বিপক্ষ দল তৃণমূলকে সাহায্য করতে ঝামেলা করছে। অন্যদিকে, গাড়ির ভিতর বসে থাকেন মৃতার পরিবার। কলকাতা মেডিক্যালের উপর অনাস্থা প্রকাশ করেছে পরিবার। তাঁরা মনে করছেন, সঠিক ময়নাতদন্ত হবে না ওখানে। তথ্য প্রমাণ লোপাটেরও আশঙ্কা রয়েছে বলে দাবি পরিবারের। তাই তাঁরা কমান্ড বা এইমস হাসপাতালে দেহ ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়েছেন। পরবর্তীতে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: বাস দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, বুধবার সিঙ্গুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোম থেকে এক প্রশিক্ষণরত নার্সের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তিনদিন আগেই ওই হাসপাতালে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। মৃতার পরিবার তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। অভিযোগের আঙুল ওঠে নার্সিংহোমের মালিকের দিকে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ মৃতার প্রেমিক এবং নার্সিংহোমের মালিককে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ওই নার্সকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও শেষ পর্যন্ত বিয়ে করেননি তাঁর প্রেমিক। তারপর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি, ঘটনার দিন রাতে তাঁর সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগও উঠেছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।