বাঁকুড়া: গত প্রায় এক সপ্তাহ ধর পুরুলিয়ার (Purulia) বন দফতরকে কার্যত ঘোল খাইয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাঘিনি জিনাত। অপরদিকে, বাঁকুড়ায় (Bankura) দেখা মিলেছে নয়া আতঙ্ক। আতঙ্কের নাম দলমার দাঁতাল দল। দলমা থেকে খাবারের খোঁজে বাঁকুড়ায় এসেছে প্রায় ৬২টি হাতির একটি দল। বর্তমানে তাদের ঠিকানা বড়জোড়ার পাবয়ার জঙ্গল। বন দফতর জঙ্গলে হাতির দলের গতিবিধি উপর নজর রাখছে। কিন্তু তারপরেও আতঙ্ক কাটছে না এলাকার মানুষের। বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
পশ্চিমের জেলা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম। এই তিন জেলা আপাতত বন্যপ্রাণীদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র। বনকর্মীদের বারংবার ঘোল খাইয়ে ওড়িশার সিমলিপাল থেকে পালিয়ে আসা বাঘিনি জিনাত পুরুলিয়ায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাকে ধরতে নাকাল হচ্ছে বন দফতর। বারংবার বনকর্মীদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে কখনও পাহাড়ি জঙ্গলো, আবার কখনও লোকালয় লাগোয়া জঙ্গলে ঘাপটি মেরে বসে থাকছে সে। পুরুলিয়ায় যখন এমন অবস্থা তখন স্বস্তিতে নেই বাঁকুড়া বন দফতর।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকেও এবার সেমেস্টার ব্যবস্থা
যদিও বাঁকুড়ায় চিন্তার কারণ হাতির দল। সপ্তাহ দুই আগে দলমা থেকে আসা ৬২টি হাতি পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমানা পেরিয়ে ঢুকে পড়ে বাঁকুড়া জেলায়। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর, জয়পুর ও সোনামুখীর জঙ্গল পেরিয়ে হাতির দল সটান হাজির হয় বড়জোড়ার পাবয়ার জঙ্গলে। আপাতত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সেখানেই রয়েছে হাতির দলটি। পাবয়ার জঙ্গলের মধ্যেই হাতির দলটির গতিবিধি সীমাবদ্ধ রেখে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা এড়াতে লাগাতার চেষ্টা চালাচ্ছে বন দফতর।
উল্লেখ্য, দল হাতির পাশাপাশি চিন্তা বাড়াচ্ছে রেসিডেন্সিয়াল দলছুট দাঁতাল। একদিকে, বিভিন্ন জঙ্গলে দাপিয়ে বেড়ানো রেসিডেন্সিয়াল দলছুট সেই দাঁতাল এবং অন্যদিকে ৬২ টি হাতির দলের আতঙ্কে এখন কাঁটা হয়ে রয়েছে বাঁকুড়া জেলার উত্তরাংশের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। হাতির দলকে নিয়ে চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ চওড়া হচ্ছে বন কর্তাদের কপালেও। চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও। বিরোধীদের দাবি সরকার ও বন দফতরের সদিচ্ছার অভাবেই সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। অভিযোগ উড়িয়ে শাসক দলের দাবি বন দফতর ও সরকারের চেষ্টার ত্রুটি নেই।
দেখুন আরও খবর: