নয়াদিল্লি: ধর্ষিতা (Rape Victim), অ্যাসিড আক্রান্ত (Acid Victims) ও পকসো মামলায় (POCSO cases) ক্ষতিগ্রস্তকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে হবে, সব হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court)। ধর্ষণ এবং অ্যাসিড আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা পেতে ব্যাপক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।
বিশেষত বিনামূল্যে চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে। পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ সূত্রে বিচারপতি প্রতিভা এম সিং ও বিচারপতি অমিত শর্মার ডিভিশন বেঞ্চের একগুচ্ছ নির্দেশ। দিল্লি হাইকোর্টের এই নির্দেশ আগামীদিনে দৃষ্টান্তস্থাপন করতে চলেছে।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার ইস্যুতে ইউনুসকে ধমক! ফোনে কী বলল আমেরিকা?
কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকার পরিচালনাধীন বা সাহায্যপ্রাপ্ত, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং নার্সিংহোমকে নিশ্চিত করতে হবে যে, এই ধরনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত যেন কোনভাবেই চিকিৎসা বা অন্য পরিষেবা পেতে ব্যর্থ না হন।
চিকিৎসা বলতে বোঝানো হচ্ছে, প্রাথমিক চিকিৎসা, ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, ক্ষতিগ্রস্তকে ভর্তি নেওয়া, চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে ছেড়ে দেবার পরেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া, তার ডায়গনস্টিক পরীক্ষা, ল্যাব পরীক্ষা, অস্ত্রোপচার, শারীরিক এবং মানসিক কাউন্সেলিং, মানসিক সাহায্য এবং পরিবারের কাউন্সেলিং ইত্যাদি বোঝাচ্ছে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে আদালত।
এমন ক্ষতিগ্রস্তকে জরুরি ভিত্তিতে আনা হলে তাকে অথবা তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিকে পরিচয়পত্র পেশ করার জন্য বাধ্য করা যাবে না। বরং তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা শুরু করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তকে ভর্তি নেওয়ার প্রয়োজন হলে কোন অর্থ চাওয়া যাবে না। এমন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রতিটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে সম্পর্কিত বোর্ড গঠন করতে হবে। এই বোর্ডের সঙ্গে কিভাবে যোগাযোগ করতে হবে তা সেই প্রতিষ্ঠানের প্রকাশ্য জায়গায় ইংরেজি ও স্থানীয় ভাষায় উল্লেখ করতে হবে।
প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে রাখতে হবে, এই নির্দেশ অমান্য হলে এক বছরের কারাবাস অথবা জরিমানা কিংবা দুটোই হতে পারে। কারণ এমন ক্ষতিগ্রস্তকে চিকিৎসা না দেওয়া ফৌজদারি অপরাধ। কোনও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পেলে পুলিশকে তৎক্ষণাৎ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২০০ ধারা অর্থাৎ আইপিসি’র ১৬৬ ধারা অনুযায়ী অভিযোগ দায়ের করতে হবে।
দেখুন অন্য খবর-