নদিয়া: ডিজিটাল অ্যারেস্ট (Digital Arrest) দমনে বড়সড় সাফল্য পেল কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ (Krishnanagar Cyber Crime Police)। এবার ডিজিটাল অ্যারেস্টের শিকার মায়াপুরের এক বিধবা মহিলা। ওই মহিলাকে ফাঁদে ফেলতে পুলিশ পরিচয় দিয়ে দু’কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতারকের বিরুদ্ধে। ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রতারককে চিহ্নিত করে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫২ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৭মে সকালে ওই মহিলাকে এক অজ্ঞাত ব্যাক্তি থেকে ফোন করে জানায় যে তাঁর আধার নম্বর ব্যবহার করে বেআইনি কাজ করা হয়েছে। ওই মহিলার নাম সচনা ভেল্লাই। তিনি মায়াপুরের বাসিন্দা। তারপরেই ওই ব্যাক্তি নিজেকে মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ বিভাগের অফিসার পরিচয় দিয়ে ভিডিও কল করে। এমনকি মহিলার বিশ্বাস অর্জনের জন্য মুম্বই পুলিশের লোগো এবং বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হওয়া দুষ্কৃতী ও বিভিন্ন ব্যাংকের অভিযোগপত্র ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের নথি দেখানো হয়। মুক্তি দেওয়ার জন্য ওই মহিলার কাছে থেকে ২কোটি টাকা দাবি করে ওই প্রতারক।
আরও পড়ুন: নাশকতা নয়, মধ্যমগ্রাম বিস্ফোরণের নেপথ্যে পরকীয়া প্রেমের বদলা!
এরপর ওই মহিলা গত ২৭ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত দফায় দফায় প্রতারকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোট দু’কোটি টাকা পাঠান। পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে তিনি কৃষ্ণনগরের সাইবার ক্রাইম থানার দারস্ত হন। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রথমে কিছুটা ধোঁয়াশায় মধ্যে থাকলেও একে একে সূত্র খুঁজে বের করেন পুলিশ আধিকারিকরা। তদন্তে তাঁরা জানতে পারেন কর্নাটকের মাইসোরের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ওই টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। চেকের মাধ্যমে ৪ লক্ষ টাকা তুলেছেন মাইসোরের বাসিন্দা বিনায়ক কুমার। সেখানে অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল।
ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে পুলিশ। এরপর গত ১২ই অগাস্ট ওই প্রতারককে গ্রেফতার করে কৃষ্ণনগর নিয়ে আসা হয়। পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় পাঁচ থেকে ছয় জন জড়িত আছে। তারা বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা। বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ওই টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫২ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর