ওয়েব ডেস্ক : বাণিজ্যিক চুক্তি (Trade Deal) সম্পন্ন হল আমেরিকা (America) ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union) মধ্যে। রবিবার স্কটল্যান্ডে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। তবে এই চুক্তিকে ঘিরে বিশেষজ্ঞ মহলে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। নতুন চুক্তি অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি বাণিজ্য করতে চায় তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দিতে হবে ১৫ শতাংশ শুল্ক। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বিশাল পরিমাণে জ্বালানি তেল কেনার পাশাপাশি বিনিয়োগ করতে হবে আমেরিকায়। মূলত এই চুক্তি করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন (Trump Government)। তা নাহলে শুল্ক বাড়াত ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে এক,প্রকার চাপে পড়েই এই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। এর জন্য আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তির ক্ষেত্রে সতর্ক রয়েছে ভারতও।
মার্কিন প্রশানের তরফ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছিল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (European Union) যদি ১ আগস্টের মধ্যে চুক্তি না করে তাহলে শুল্ক বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করে দেওয়া হবে। তবে তার আগেই সম্পন্ন হয় চুক্তি। এই চুক্তি অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আসা বেশিরভাগ পণ্যের উপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে আমেরিকা। পাশাপাশি আমেরিকা থেকে ৭৫০ বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি কিনতে হবে ইইউকে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, আমেরিকায় (America) ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগও করতে হবে ইইউকে। তবে এই চুক্তিতে যে সব শর্তের কথা বলা হয়েছে, তাতে ইউরোপীয় ইউনিয় আমেরিকা নির্ভর হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইইউ ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশও করা হয়েছে।
আরও খবর : ব্যাঙ্ককে ভয়াবহ ঘটনা, আততায়ীর গুলিতে মৃত ৪
অন্যদিকে আমেরিকার (America) সঙ্গে ভারতের (India) বাণিজ্যচুক্তি (Trade Deal) নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কৃষি ও পশুপালন শিল্পে প্রবেশ করতে চায়। এটি হলে দেশের বাণিজ্য ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তবে ভারতের জন্যও, এই চুক্তি করার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। ১ আগস্ট পর্যন্ত ছিল সেই সময়সীমা। তবে সেই সময়সীমা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য ভারতে আসছে মার্কিন প্রতিনিধি দল। তবে এই চুক্তি আদৌ হবে কি না তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে।
মার্কিন চাপে যাতে ভারতের স্বার্থ ক্ষুন্ন না হয়, সেদিকে ভারত সরকারকে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বাণিজ্যমন্ত্রী পিযুষ গোয়েল আগেই বলেছিলেন, দুই তরফে লাভজনক অবস্থানকে গুরুত্ব দিয়ে এই বাণিজ্যচুক্তি (Trade Deal) সম্পন্ন করা হবে। তবে এই চুক্তি যদি না হয় তাহলে ভারতের রপ্তানির উপর ২৬ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
দেখুন অন্য খবর :