দেবাশিস দাশগুপ্ত
সংসদে রঙিন ধোঁয়া কাণ্ডে বিজেপি এবং বিরোধীদের (Opposition) মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। সংসদের ভিতরে বাইরে এক পক্ষ অপর পক্ষকে দুষছে। ১৯ ডিসেম্বর ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের (INDIA Alliance Meeting) আগে বিরোধীদের সামনে সংসদে হামলার (Parliament Security Breach) বিষয়টি বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে চলেছে। টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন বিতর্কে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র্রের বহিষ্কারের পরই সংসদে হামলার ঘটনা বিরোধীদের ফের এক ছাতার তলায় এনে দিয়েছে।
এদিকে সংসদে রঙিন ধোঁয়া কাণ্ডে বিজেপিও বসে নেই। এতে বঙ্গ-যোগ সামনে চলে আসায় বিজেপি তৃণমূলকে টার্গেট করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছে। দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডলে সংসদ হামলায় ধৃত ললিত ঝার সঙ্গে তৃণমূল নেতা তাপস রায়, দলের আর এক নেতা রাজেশ শুক্লা, যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সৌম্য বক্সির ছবি তুলে দিয়ে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, সংসদের নিরাপত্তার প্রশ্নে তৃণমূলের যোগাযোগের ইঙ্গিত মিলছে এই ছবি থেকে। অমিতের প্রশ্ন, এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন নীরব? একই প্রশ্ন তুলেছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাপস অবশ্য সুকান্ত এবং অমিতের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকি দিয়েছেন।
আর এক ধাপ এগিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু তাঁর এক্স হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শহুরে নকশাল এবং টুকরে গ্যাংকে মদত দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, অনুপ্রবেশকারীদের সেফ প্যাসেজ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই রাজ্য। বাংলা এখন রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অন্যতম ডেরা হয়ে গিয়েছে। শহুরে নকশালদের অবাধ বিচরণের ক্ষেত্র এখন বাংলা। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
আরও পড়ুন: পিজিতে বালুর কেবিন থেকে সিসিটিভি সরানোর নির্দেশ কোর্টের
এদিকে তৃণমূলও তেড়েফুঁড়ে উঠেছে। তৃণমূল-সহ তাবড় বিরোধীরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইস্তফার দাবিতে অনড়। বৃহস্পতিবার সাসপেন্ড হওয়া বিরোধী সাংসদরা শুক্রবার সংসদের বাইরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনা দেন। সেখানে কিছুক্ষণের জন্য হাজির ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ সোনিয়া গান্ধী। বিরোধীরা জানান, তাঁদের ধরনা চলবে। কলকাতায় তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, সংসদে যা ঘটেছে, তা আড়াল করার চেষ্টা করছেন বিজেপির চারআনার নেতারা। কুণালের আক্রমণের নিশানায় অবশ্যই শুভেন্দু, সুকান্তর মতো রাজ্যের বিজেপি নেতারা।
যে বিজেপি সাংসদের সই করা ভিজিটর পাস নিয়ে সাগর এবং মনোরঞ্জন সংসদ কক্ষে ঢুকেছিলেন, কুণাল সেই প্রকাশ সিমহার সাসপেনশনের দাবি তোলেন। তিনি বলেন, মহুয়াকে যদি বহিষ্কার করা হয় সংসদের নিরাপত্তার প্রশ্নে, তবে প্রকাশকে কেন সাসপেন্ড করা হবে না। সংসদে প্রশ্ন করা হল বলে বিরোধী সাংসদদের সাসেপন্ড করা হয়েছে। কুণাল বলেন, সুকান্ত, শুভেন্দুরা কাচের ঘরে বসে অন্যদের দিকে ঢিল ছুড়ছেন।
আরও অন্য খবর দেখুন