শিলিগুড়ি: শুক্রবারও শিলিগুড়ি শহরে পানীয় জল (Drinking Water) নিয়ে হাহাকার চলল। দোকানে দোকানে জল কিনতে লম্বা লাইন চোখে পড়ে। পুরসভা যে পাউচ বিলি করছে, তাতে সঙ্কট মিটছে না। ফলে নগরবাসীর ক্ষোভ বেড়েই চলছে। তারই মধ্যে এদিন জলের দাবিতে বিজেপি তুমুল বিক্ষোভ দেখায় পুরসভার (Siliguri Municipality) সামনে। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের ধস্তাধস্তি চলে। দলীয় কর্মীরা মেয়র গৌতম দেবের (Mayor Gautam Dev) কুশপুতুল এনেছিলেন দাহ করার জন্য। কিন্তু দাহ করার আগেই তা পুলিশ কেড়ে নেয়। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিজেপির বিক্ষোভের কারণে মেয়রের সাংবাদিক বৈঠকও মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়।
শিলিগুড়ি পুরসভার (Siliguri Municipality) সরবরাহ করা মহানন্দা নদীর জলে অতিরিক্ত পরিমাণে রয়েছে বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড। সেই জল পানের অযোগ্য বলে মেয়র ঘোষণা করার পরই শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে বিক্ষোভ করে সিপিএম। প্রাক্তন মেয়র তথা প্রবীণ সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে দীর্ঘক্ষণ পুরসভায় অবরোধ চলে। বাম কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। সিপিএমের অভিযোগ, মহানন্দার ওই জল যে পানের অযোগ্য, তা আগেই জানা গিয়েছিল। কিন্তু পুরসভা তা চেপে যায়। সম্প্রতি সেই জলের নমুনা রাজ্য দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদে পাঠানো হয়। তারা রিপোর্ট দিয়ে জানায়, জলে বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ডের পরিমাণ অনেক বেশি, যা শূন্য থাকার কথা। ওই কথা জানিয়ে মেয়র ঘোষণা করেন, শহরবাসী যেন ২ জুন পর্যন্ত ওই জল না খান। পুরসভা বিকল্প ব্যবস্থা করবে।
আরও পড়ুন: শেষ দফার ভোটে কাল ৯ কেন্দ্রে ৯৬৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
বৃহস্পতিবার থেকেই শহরে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এদিন তা তুঙ্গে ওঠে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন। মেয়র জানান, বিকল্প হিসাবে পুরসভার তরফে পানীয় জলের পাউচ বিলি করা হচ্ছে। বেশ কিছু জলের ট্যাঙ্কের মাধ্যমেও বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই জলের পাউচে চাহিদা মিটছে না। শিলিগুড়িতে ওয়ার্ড সংখ্যা ৪৭টি। মোট ২৬টি ট্যাঙ্কের ব্যবস্থা করেছে পুরসভা। শিলিগুড়ির মতো বড় শহরে এই ট্যাঙ্কের জল পর্যাপ্ত নয়। প্রতিটি ওয়ার্ডে এক বেলা করে জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো যাচ্ছে।
অন্য খবর দেখুন