ওয়েব ডেস্ক: আমেরিকার (US) প্রেসিডেন্ট হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia Ukraine War) বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) । গত নভেম্বরের নির্বাচনে লাল রঙে ছেয়ে যায় আমেরিকা। বিপুল জনসমর্থন নিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প সেকথা রাখতে পারেননি তিনি। তবে শপথ নেওযার তিন দিনের মধ্যেই প্রতিশ্রুতি মতো ‘নথিহীন’ অভিবাসী (Illegal Immigrants) তাড়াতে পদক্ষেপ শুরু করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন। এইচ ১ বি ভিসা নিয়ে সুর নরম করেছিলেন। কিন্তু পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী একেবারে সামরিক বাহিনীকে মাঠে নামিয়ে আমেরিকা থেকে বিদেশের অভিবাসীদের তাড়ানোর কাজ শুরু করলেন ট্রাম্প। গ্রেফতার করা হল ৫০০ জনকে। তার মধ্যে ১০০ জনকে দেশে ফেরানোর কাজ শুরু। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমেরিকা প্রশাসন ৫৩৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। ১০০ জনকে সামরিক বিমানে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে হোয়াইট হাইসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট বলেন, আমেরিকা প্রশাসন ৫৩৮ জন অপরাধমূলক কাজ করা বেআইনি অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে। তার মধ্যে একজন সন্দেহজনক জঙ্গিও রয়েছে। চারজন একটি কুখ্যাত গ্যাংয়ের সদস্য, কয়েকজন রয়েছে যারা নাবিলাকাকে যৌন হেনস্তায় দোষী সাব্যস্ত। ইতিহাসের সব থেকে বড় বিতাড়নের ঘটনা ঘটতে চলেছে। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হচ্ছে।
তার মধ্যে কয়েকজন রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও রয়েছে। তাদের তালিকা তৈরি করেছে আমেরিকার অভিবাসন ও শুল্ক বিভাগ। দেশের সীমান্তের নিরাপত্তা বাড়াতে ট্রাম্প কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব নীতি চালু করতেই আদালতে হোঁচট খেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প!
গত ২০ জানুয়ারি শপথ নিয়েই ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব অর্ডারে সই করেন তার মধ্যে হল, অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে আমেরিকার জনগণকে রক্ষা করা। ওই অর্ডারে এটা বলা হয়েছে গত চার বছরে অপ্রত্যাশিত বেআইনি অভিবাসীদের বন্যা দেখা গিয়েছে। কখনও সীমান্ত পেরিয়ে, কখনও উড়ান পথে নানাভাবে এসে আমেরিকার নিয়ম ভেঙে থেকে গিয়েছেন অনেকে। যা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপদের। বৃহস্পতিবারই মার্কিন কংগ্রেস জিওপি বিল-লেকেন রাইলি অ্যাক্টে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। যা অনুযায়ী, নথিহীন যেসব অভিবাসী আমেরিকায় এসেছেন এবং অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন তাঁদের আটক করে ফেরত পাঠানো হবে।
দেখুন অন্য খবর: