ওয়েব ডেস্ক: বুকের বা দিকে মাঝে মধ্যেই ব্যাথা অনুভব করেন অনেকে। কিন্তু গ্যাস বা হজমের গন্ডগোল ভেবে অ্যান্টাসিড (antacid) খেয়ে নেন প্রায় সকলেই। কিন্তু সবসময় বুকে ব্যাথা মানেই যে অ্যাসিডিটি (acidity) নয়, তা আর কজন ভেবে দেখেন। কখনও ওই বুকে হালকা ব্যাথা থেকেই হতে পারে মৃত্যু । কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে যদি চিকিৎসা করা যায়, তাহলে অবশ্যই ঝুঁকি থাতবে না কোনও রোগের ক্ষেত্রেই।
বুকে অনেকক্ষন ব্যথা, তারপর শুরু হয় দরদর করে ঘাম আর শ্বাসকষ্ট। কিন্তু কি হয়েছে, তা বুঝতেই কেটে যায় সময়। রোগীকে হায়পাতালে যখন নিয়ে যাওয়া হয়, তখন প্রায় সময় পেড়িয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকেরা বলেন, হার্ট অ্যাটাকের পরে ৬০ থেকে ৯০ মিনিট সময়টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওই সময়ের মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাইমারি অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করাতে পারলে রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: মহুয়ার বিয়ের শাড়ির দাম কত, জানলে চমকে উঠবেন…
প্রথমেই সকলের প্রশ্ন যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, তা বুঝবেন কীভাবে? চিকিৎসকেরা বলেন, হার্ট অ্যাটাক হলে বুকের মাঝে একটা চাপা যন্ত্রনা হবে, যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলে ‘কমপ্রেসিভ চেস্ট পেন’। সেই সঙ্গে প্রচুর ঘাম হবে।যদিও, অনেকের বুকে ব্যাথা না হলেও বাঁ দিকের চোয়াল, কাঁধ এবং হাতে ব্যথা হতে পারে। কারও আবার পিঠের দিকেও এই ব্যথা ছড়িয়ে যেতে পারে। মুখ ফ্যাকাসে, হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রক্তচাপ কমে যেতে পারে অনেকটাই। এ সব দেখলে বুঝতে হবে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। সেই সময় তরিঘরি চিকিৎসার প্রয়োজন। হার্ট অ্যাটাকের পর ১ থেকে ২ ঘণ্টা অবধি সময়টাকেই ‘গোল্ডেন আওয়ার’ বলা হয়।
এই ধরনের লক্ষণ দেখলে অবশ্যই বাড়ির সদস্যদের সচেতন হতে হবে অনেকটাই। জিভের নীচে সরবিট্রেট দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এতে প্রাথমিক ভাবে হার্ট অ্যাটাক থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি অন্তত ৩০ শতাংশ কমে যায় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। প্রাইমারি অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করানো যাবে এমন হাসপাতালেই যেতে হবে রোগীকে নিয়ে। রোগী হাসপাতালে পৌঁছনোর পর থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যেই ক্যাথল্যাবে নিয়ে গিয়ে অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করে ফেললে তা খুবই ভালো।
হার্ট অ্যাটাক হলে ঘরে ফেলে রেখে বিভিন্ন ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করলে এই সব রোগীদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই সময়মত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
দেখুন অন্য খবর