ওয়েব ডেস্ক: মঙ্গলে প্রকৃতির তান্ডবের সাক্ষী গোটা দেশ। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তরকাশীর (Uttarkashi) পাহাড়ি অঞ্চল হঠাৎ ভয়াল রূপ নেয়। ক্ষীরগঙ্গা নদীর রুদ্র রূপে প্রবল হড়পা বানে ভেসে যায় ধারালি নামের একটি গোটা গ্রাম। নিখোঁজ হর্ষিল সেনা ছাউনির ১১ জন জওয়ান। আর বুধবার এই একই রকমের দুর্যোগের সাক্ষী থাকল হিমাচল প্রদেশের কিন্নর জেলা। টাংলিং নালায় প্রবল জলের তোড়ে ভেঙে পড়ে দুটি অস্থায়ী সেতু। বহু পর্যটক আটকে পড়েন ওই এলাকায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। জিপলাইনে ৪১৩ জন তীর্থযাত্রীকে নিরাপদে উদ্ধার করেন তাঁরা।
কিন্নর জেলায় হড়পা বানের খবর আনে আসতেই প্রশাসনের নির্দেশে ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) যৌথভাবে উদ্ধার কাজে নামে। অন্যদিকে, উত্তরকাশীর বিপর্যস্ত ধারালি গ্রাম থেকেও বুধবার ১৩০ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী।
আরও পড়ুন: আজ রাহুলের বাড়িতে ইন্ডিয়া ব্লকের বৈঠক, থাকবেন অভিষেক
বুধের দুর্যোগের একাধিক ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রবল জলের তোড়ে ঘরবাড়ি, দোকান, হোমস্টে দেশলাইয়ের খোলের মতো ভেসে যাচ্ছে। ধারালি গ্রামের অর্ধেক অংশ কার্যত নদীর জলে তলিয়ে গিয়েছে। অনেকেই এখনও আটকে আছেন বলে আশঙ্কা করছে উদ্ধারকারী দল। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে অনেক জায়গায় রাস্তা বন্ধ। হেলিকপ্টারও নামানো যাচ্ছে না।
ইতিমধ্যেই হরিদ্বার, নৈনিতাল ও উধম সিং নগরে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। অন্যদিকে, নৈনিতাল, তেহরি, রুদ্রপ্রয়াগ, আলমোরা, চামোলি ও বাগেশ্বর জেলার যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন। উত্তরাখণ্ড রাজ্যে অন্তত ১৬৩টি রাস্তা এখন অচল। যার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি জাতীয় সড়ক এবং সাতটি রাজ্য সড়ক। রাজধানী দেরাদুন থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দুটি সীমান্ত সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্গম এলাকায় উদ্ধারকাজ আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।
মৃতদেহ সন্ধানে বিশেষ প্রশিক্ষিত কুকুরদের কাজে লাগাচ্ছে এনডিআরএফ (NDRF)। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ-এর তিনটি দল, প্রতি দলে ৩৫ জন করে সদস্য রয়েছে। রুদ্রপ্রয়াগের অলকানন্দা নদীর জলস্তর বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছতে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে কেদারনাথ তীর্থযাত্রা।
দেখুন অন্য খবর