নয়াদিল্লি: দেশের কোন রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ (100 Days Work) প্রকল্পে কত ভুয়ো জবকার্ড (Fake Job Cards ) বাতিল হয়েছে সেই পরিসংখ্যান দিল কেন্দ্রীয় সরকার। সাংসদ মালা রায়ের প্রশ্নের জবাবে তিন বছরের তালিকা দিলেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী কমলেশ পাসোয়ান। লিখিত ভাবে তৃণমূল সাংসদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। তাতেই রয়েছে ভুয়ো জবকার্ড বাতিলের পরিসংখ্যান। যদিও কোন রাজ্যে কত গ্রেফতার, সেই পরিসংখ্যান কেন্দ্রের তরফে দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখযানে দেখা যাচ্ছে, অনেক রাজ্যের থেকে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা অনেকটাই ‘ভালো’। ভুয়ো জবকার্ড বাতিলে সবচেয়ে প্রথমে নাম রয়েছে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশের। উত্তর প্রদেশ ৩৪২১। তালিকার অনেক নীচে নাম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের। বাংলায় মাত্র ২।
কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে দেশে মোট ভুয়ো জবকার্ড বাতিলের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৫৯ হাজার ৩৬২। এর মধ্যে শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশেই বাতিল হয়েছে ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৩৫৪টি জবকার্ড। ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গে জবকার্ড বাতিলের সংখ্যা ৫ হাজার ২৬৩। ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে উত্তরপ্রদেশে বাতিল হয়েছিল ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৩৯৭টি জবকার্ড। বাংলায় বাতিলের সংখ্যা ছিল ৭১৯টি। ২০২৫-’২৫ অর্থবর্ষে উত্তরপ্রদেশে বাতিল হয় ৩ হাজার ৪২১টি জবকার্ড। বাংলায় বাতিলের সংখ্যা ছিল মাত্র দু’টি। শুধু উত্তরপ্রদেশই নয়, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, ওড়িশা, রাজস্থান-সহ একাধিক রাজ্যই ভুয়ো জবকার্ড বাতিলের সংখ্যায় অনেক এগিয়ে।
আরও পড়ুন: বড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস! দিতে হবে বিপুল অঙ্কের কর, জানাল ট্রাইবুনাল
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও কোনও হেলদোল নেই। ১০০ দিনের কাজ নিয়ে কার্যত নীরব কেন্দ্র। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করল রাজ্য সরকার। একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনায় টাকা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া রেখেছে কেন্দ্র। বাংলার বিরুদ্ধে ‘বঞ্চনা’ বলে অভিযোগ করে আসছে রাজ্যের শাসক তৃণমূল। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে কেন্দ্রের বঞ্চনাকে প্রচারের অন্যতম ভাষ্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরা। সোমবার ২১ জুলাইয়ের সভা থেকেও ১০০ দিনের কাজ-সহ আবাস, গ্রাম সড়ক যোজনার মতো কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার টাকা আটকে রাখা নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। শাসকদলের প্রশ্ন, অন্য রাজ্যেও ভুয়ো জবকার্ড ছিল। বাংলার চেয়ে তা বহুগুণ বেশি। তা হলে সেই রাজ্যে বরাদ্দ বন্ধ না-হলে বাংলায় বন্ধ রাখা হয়েছে কেন? বাংলার মানুষের বিরুদ্ধে বিজেপি-র যড়যন্ত্র’ বলে অভিহিত করছে তৃণমূল।
অন্য খবর দেখুন