ওয়েব ডেস্ক: মালেগাঁও বোমা বিস্ফোরণ (Malegaon Blast Case) মামলায় বেকসুর খালাস মূল অভিযুক্তরা। বৃহস্পতিবার রায় দিল মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত। সেই রায়ের প্রতিবাদে সংসদের মকরদ্বারে বিক্ষোভ দেখাল ইন্ডিয়া জোট (INDIA)।
প্রায় ১৭ বছর ধরে দীর্ঘ শুনানি চলার পর বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা বিশেষ বিচারক এ কে লাহোটির (Special Judge AK Lahoti) । যেখানে মোট অভিযুক্তের সংখ্যা ছিল ৭।
আদালত সূত্রে খবর, তদন্তকারীরা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অকাট্য প্রমাণ দাখিল করতে ব্যর্থ হন। দ্বিতীয়ত যেসব প্রমাণ হাজির করা হয়েছে, সেখানে হেঁয়ালিপূর্ণ অসঙ্গতি রয়েছে। সন্ত্রাসবাদের কোনও ধর্ম নেই। কিন্তু নৈতিক ভিত্তিতে সাজা হতে পারে না এমনটাই অভিমত বিচারকের। তদন্তকারীরা যে বাইকের সঙ্গে বোমা বাঁধা ছিল, সেটি যে স্বাধ্বী প্রজ্ঞার, তার প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। ওই দু’চাকার গাড়িটির চেসিসের সিরিয়াল নাম্বার সম্পূর্ণভাবে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা উদ্ধার করতে পারেননি। ফলে বাইকটি যে অভিযুক্তের, তা প্রমাণ হয়নি। তাছাড়া বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত সকলেই ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য বলেও জানিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য, নিহতের পরিবারকে দুই লক্ষ ও আহতদের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের ‘শুল্কবাণ’! ধস ভারতের শেয়ার বাজারে
খালাস পাওয়ার পর বিজেপি নেত্রী সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর (BJP leader Sadhvi Pragya Thakur) বলেন, তাঁর নাম ভুল ভাবে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। তাঁকে অসম্মানিত হতে হয়েছে। তিনি দোষী নয়, সে কথা আদালতে বলেও ছিলেন। সূত্রের খবর, আদালতে কথা বলার সময় কেঁদে ফেলেন তিনি। তবে গেরুয়ার জয় হল। হিন্দুত্বের জয় হল। যারা এই গেরুয়ার অপমান করেছেন, ভগবান তাঁদের শাস্তি দেবেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রমজান মাসে মালেগাঁও-এ মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় একটি এলএমএল ফ্রিডম মোটরসাইকেলে বাঁধা ইম্প্রভাইসড এক্সক্লুসিভ ডিভাইস বিস্ফোরণ হয়। এই বিস্ফোরণে ৬ জন নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। শুরুতে তদন্ত শুরু করে মহারাষ্ট্র এন্টি টেরোরিজম স্কোয়াড (Maharashtra Anti-Terrorism Squad) । তারাই গ্রেফতার করে বিজেপি সংসদ সদস্য প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর, লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ পুরোহিত, অবসরপ্রাপ্ত মেজর রমেশ উপাধ্যায় সহ ১২ জনকে। কিন্তু ২০১০ সালে তদন্ত হস্তান্তরিত হয় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির হাতে। ২০১৬ সালে তারা অতিরিক্ত চার্জশিট দিয়ে জানায়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পর্যাপ্ত নয়।
এই প্রেক্ষাপটে আইপিসি, ইউএপিএ এবং এক্সক্লুসিভ সাবস্ট্যান্সেস আইন অনুযায়ী শুনানি শুরু হয় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে। ২০২৪ সালের এপ্রিলে সওয়াল জবাব শেষ হয়। রায় মুলতবি রাখা হয় ১৯ এপ্রিল।
দেখুন আরও খবর: