ওয়েব ডেস্ক: হিজাব (Hijab) ফতোয়াকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অন্তর্বাস পরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উপস্থিত হয়েছিলেন ইরানের এক তরুণী। সব অর্থেই এই ঘটনা উস্কে দেয় মাহসা আমিনির (Mahsa Amini) অন্ধকার স্মৃতি। নীতি পুলিশের মারে মৃত্যু হয়েছিল মাহসার। এবার অন্তর্বাস পরে রাস্তায় নামার পর তেহরানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণী পড়ুয়াকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তারপর থেকেই আর খোঁজ মিলছে না তাঁর। মাহসার মতোই মেয়েটির পরিণতি হয়নি তো? আশঙ্কা গোটা বিশ্বের।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া তরুণী অন্তর্বাস পরে হেঁটে চলেছেন। কেন এমন করলেন তিনি? সূত্রের খবর, যথাযথ ভাবে হিজাব না পরার জন্য তাঁকে নিগ্রহ করেন কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী। তাঁর প্রতিবাদেই হিজাব খুলে অন্তর্বাস পরেই হাঁটাতে শুরু করেন তিনি। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করার পর আর খবর পাওয়া যায়নি ওই তরুণীর।
গ্রেফতারির পর কোথায় রাখা হয়েছে ওই তরুণীকে? কী অবস্থায় রয়েছেন তিনি? এখনও পর্যন্ত কোনও খবর নেই বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র। মৌলবাদী দেশ ইরানের এই খবরে উদ্বেগেগোটা বিশ্ব। অনেকেই মনে করিয়েছেন মাহসার করুণ পরিণতির কথাও। যার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরান জুড়ে চলছিল হিজাব বিদ্রোহ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ দাবি করছেন, থানায় নিয়ে গিয়েছিলাম জিজ্ঞাসাবাদের পর পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে ওই তরুণী মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকের দাবি একরকম অতিষ্ঠ হয়েই ওই তরুণী এই কাজ করেছেন। একজন মন্তব্য করেছেন, অধিকাংশ মহিলার কাছেই অন্তর্বাস পরে রাস্তায় বেরোনো দুঃস্বপ্নের কম নয়।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে মাহসা আমিনির ঘটনা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল গোটা বিশ্বে। হিজাব না পরে পথে নেমেছিলেন তিনি। এই ‘অপরাধে’ তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় আমিনির। ঘটনার প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বিশ্বজুড়ে। যদিও ইরানের মৌলবাদী শাসক পাল্টা দমন পীড়ন পাল্টা দমনপীড়ন চালায় বলে অভিযোগ। হিজাব আইন আরও কড়া হয় সেদেশে। ইতিপূর্বে, হিজাব আইন ভাঙলে ১০ দিন থেকে দু’মাস অবধি জেল ও আর্থিক জরিমানা হত। মাহসা কাণ্ডের পর সেই মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিল পাশ হয় ইরানীয় সংসদে। হিজাব বিধি না মানলে ৭ লক্ষ টাকা অবধি জরিমানাও হতে পারে।
দেখুন আরও খবর: