তামিলনাড়ু: তামিলনাড়ুতে Tamilnadu) তিন ভাষা নীতিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বাদানুবাদ ক্রমশই তীব্র আকার ধারণ করছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিন (M K Staling) কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে সরব হয়েছেন। ফের বৃহস্পতিবার সকালে আরও একবার হিন্দি (Hindi Language) ইস্যুতে আক্রমণ শানালেন ডিএমকে প্রধান।
ফ্র্যাঙ্কলিন লিওনার্দোকে উদ্ধৃত করে বললেন, ‘সুবিধাভোগীদের কাছে সমতাও অত্যাচারের মতো মনে হয়। ঠিক তেমনই, কিছু স্বভাবগত ধর্মান্ধ আমাদের দেশবিরোধী বলে তকমা এঁটে দিচ্ছে। কারণ আমি তামিলনাড়ুতে তামিলদের অধিকারের দাবি তুলে অপরাধ করে ফেলেছি।‘
আরও পড়ুন: জয়শঙ্করের উপর হামলার ঘটনায় কী বলল ব্রিটেন সরকার?
বিজেপি ও আরএসএস-দিকে ম্যারাথন আক্রমণ চালিয়ে স্ট্যালিনের বক্তব্য, যারা গান্ধীজির হত্যাকারীর মতাদর্শ নিয়ে গর্ব করে, চিনা আগ্রাসন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, কার্গিল যুদ্ধের সময়ে যে সরকার সবচেয়ে বেশি অর্থ অনুদান দিয়েছে, তারাই ডিএমকে-এর দেশাত্মবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। ভাষাগত অধিকার চাওয়া দেশদ্রোহিতা নয়।
স্ট্যালিন বলেন, জানেন কাকে বলে দেশদ্রোহিতা? ১৪০ কোটি মানুষের দেশে তিনটি ফৌজদারি আইনের নামকরণ এমন ভাষায় করা, যা তামিলরা উচ্চারণ করতেই পারবেন না! দেশদ্রোহিতা হল দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা রাজ্যকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রাখা, কারণ তারা জাতীয় শিক্ষানীতির বিষয় নিয়ে সোচ্চার হয়েছে। আসল দেশদ্রোহী হল হিন্দি ধর্মান্ধরা। যারা মনে করছে কিছু চাপিয়ে দেওয়াই যায়, কারণ তাদের অধিকার জন্মগত আর আমাদের প্রতিবাদ করলেই দেশদ্রোহিতা?
এদিকে কেন্দ্রের বক্তব্য, কেন্দ্র সরকার নয়া শিক্ষানীতিতে তিনটি ভাষাশিক্ষার প্রচলন করলেও তারা হিন্দি মানুষের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে না। যাতে দেশের অন্যত্র গেলে কথোপকথনে কোনও সমস্যা না হয়, তাই হিন্দি ভাষাকেও থ্রি–ল্যাঙ্গোয়েজ পলিসিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু স্ট্যালিনের যুক্তি শিশুরা চাইলে যত খুশি ভাষা শিখুক, কিন্তু এইভাবে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া যায় না। তামিলনাড়ুতে যেমন দু’টি ভাষা শিক্ষার নীতি প্রচলিত, সেটাই চলবে। এই রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে তামিলনাড়ু যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে গিয়ে রাজ্যের মানুষকে বোঝাবেন স্ট্যালিন যা বলছেন সেটি সঠিক না, মানুষ বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে জেতার লক্ষ্যে ভাষার বিভেদ ছ ড়াচ্ছে ডিএমকে প্রধান।
অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গকে অবিলম্বে জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করার নির্দেশ দিক শীর্ষ আদালত।
দেখুন অন্য খবর: