সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন নাকি খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। খেতে চাননি ওষুধ। যে কারণে বেড়েছে সুগারের সমস্যা। শনিবার আদালতে জানান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। এমন অবস্থায় তাঁকে আর হেফাজতে নিয়ে চাইছে না সিবিআই।
মঙ্গলবার রাতে সুজয়কৃষ্ণকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। শনিবার সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে। শনিবার ফের বিচার ভবনে সুজয়কৃষ্ণের মামলা ওঠে। শনিবার ফের সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী। অপর দিকে, সুজয়কৃষ্ণের উকিল নিজের মক্কেলের জামিনের জন্য সওয়াল তোলেন। যদিও জামিনের আর্জিখারিজ করেছেন বিচারক। আপাতত, ‘কালীঘাটের কাকু’।
আরও পড়ুন: ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্মতলায় শর্তসাপেক্ষে ধরনার অনুমতি হাইকোর্টের
শনিবার নতুন করে সুজয়কৃষ্ণকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর আবেদন জানায়নি সিবিআই। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী তাঁকে ফের জেল হেফাজতের পাঠানোর জন্য আবেদন জানান। এদিকে, সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী তাঁর মক্কেলের জামিন পাওয়ার জন্য সওয়াল করেন। জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন স্বয়ং বিচারক। আপাতত ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে ‘কালীঘাটের কাকু’কে।
পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্তে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। শনিবার আবেদনও জানিয়েছে তারা। তবে সে ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম মেনে নমুনা সংগ্রহ করা নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়টিও আদালতের নজরে এনেছেন সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী। মঙ্গলবার দিন সুজয়কে হেফাজতে নেওয়ার পর সিবিআই ঠিক কী করল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী। আইন জীবীর বক্তব্য ছিল, তাঁর মক্কেল কিন্তু কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তি নন।
বিচারক প্রশ্ন করেন, সুজয়কৃষ্ণ জামিন পেলে তদন্ত কী ভাবে প্রভাবিত হতে পারে। তখন সিবিআই জানিয়েছে, তিনি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। আর এই মামলার তদন্তে অনেক সরকারি আধিকারিকের নামও নাকি উঠে আসতে পারে। অন্তত তেমনটাই মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু সিবিআইয়ের বক্তব্য যে, সুজয়কৃষ্ণ তাঁদের নাম উল্লেখ করছেন না।
দেখুন আরও খবর: