কলকাতা: লোকসভায় চিফ হুইপের পদ ছাড়লেন কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়। নতুন ভূমিকায় অভিষেক, ইস্তফা কল্যাণের। চিফ হুইপের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কল্যাণ। কল্যাণের ইস্তফা ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। ২৬-র নির্বাচনের আগে একদিকে যখন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় নতুন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা অভিষেক একইদিনে লোকসভায় চিফ হুইপের পদ ছাড়লেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে কল্যাণের জায়গায় পরবর্তী চিফ হুইপ কে? প্রশ্ন উঠছে। ইস্তফার পর এক্স হ্যাণ্ডেলে পোস্ট কল্যাণের।
লোকসভায় দলের মুখ্য সচেতকের পদ ছাড়তেই যখন কল্যাণকে নিয়ে আলোচনা চলছে রাজ্য-রাজনীতিতে, তখনই সেই চর্চায় ঘি ঢেলেছে শ্রীরামপুরের সাংসদের এক্স পোস্ট। যেখানে সরাসরি মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) নাম না নিয়ে কৃষ্ণনগরের সাংসদের উদ্দেশে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। কল্যাণ তাঁর দীর্ঘ পোস্টে কদর্য ভাষায় নিশানা করেছেন। তিনি আরও লেখেন, “যাঁরা গালাগাল দিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করেন, তাঁদের উচিত নিজেদের রাজনীতির ধরন নিয়ে আত্মসমালোচনা করা। কারণ কোনও জনপ্রতিনিধি ব্যক্তিগত কটাক্ষ ও অশালীন ইঙ্গিতের আশ্রয় নিলে, তা শক্তির প্রকাশ নয়, তা নিরাপত্তার অভাব।” শেষে কল্যাণ আরও লেখেন, “এটি সরাসরি অপমান। যদি এমন কথা একজন নারীর উদ্দেশে বলা হতো, তাহলে দেশজুড়ে প্রতিবাদ হত। কিন্তু পুরুষকে এসব বলে বাহবা পাওয়া যায়। এটা দ্বিচারিতা। মহুয়া মৈত্র যদি মনে করেন, এসব করে ব্যর্থতা ঢেকে রাখা যাবে বা নজর ঘুরিয়ে দেওয়া যাবে, তা হলে তিনি ভুল করছেন। যাঁরা যুক্তি বা তথ্যের বদলে অপমান বেছে নেন, তাঁরা গণতন্ত্রের রক্ষক নন, তা দেশের মানুষ খুব ভালভাবেই বুঝতে পারেন।”
আরও পড়ুন: সুদীপ নয়, লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
এদিন মুখ্যমন্ত্রী সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আর এদিন যখন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা করা হয়। সেদিনই ইস্তফা দিলেন কল্যান। এই প্রশ্ন সামনে রেখে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়।
দেখুন খবর: