কলকাতা: কসবার ল কলেজের গণধর্ষণের (Kasba Law College Rape Case) ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের (Manojit Mishra) নামে আগেই ১২টি মামলা ছিল। এবার আরও দুই মামলায় গ্রেফতার কসবা কাণ্ডে (Kasba Incident) মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ। কসবা থানায় দায়ের হওয়া আরও দু’টি মামলায় মনোজিৎ মিশ্রকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে একটি ২০২৩ সালে মারপিট ও শ্লীলতাহানির। অন্যটি ২০২৪ সালের মারপিট ও সংঘর্ষের অভিযোগের মামলা।
কসবায় ল কলেজে (Kasba Law College) ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিতের বিরুদ্ধে রয়েছে আরও ১২টি মামলা। মারপিট, গোলমাল ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে এমনই জানালেন এই মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, এই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে হেফাজতে রেখে বিচারপর্ব শুরু হবে। তিনি আদালতে জানান, যদি এই বারোটি মামলায় আগে অভিযুক্ত মনোজিতের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হত, তাহলে এই দিনটা আর আসত না। কলেজে এত বড় ঘটনাও ঘটত না। তখন আলিপুর আদালতের বিচারক পাল্টা প্রশ্ন করেন, ২০২৩ সাল থেকে হওয়া এই বারোটি মামলায় পুলিশ কেন অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি? সরকারি আইনজীবী দাবি করেন, অভিযুক্তরা সবাই একসঙ্গে চলাফেরা করত এবং প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ কোনও কড়া পদক্ষেপ নেয়নি (Kasba Law College Rape Case)।
আরও পড়ুন: স্বাধীন নির্বাচনী দফতর গঠনের নির্দেশ, নবান্নে চিঠি কমিশনের
আদালতে তোলা হলে মনোজিতের আইনজীবী রাজু গঙ্গোপাধ্যায় তার জামিনের আবেদন করেননি। বাকি তিনজনের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন জানান। পুলিশের পক্ষে অভিযুক্তদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার আবেদন জানানো হয়। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক তাদের ৫ আগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।মনোজিতের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেল রাজনীতির শিকার। যেসব মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে, সেগুলি রাজনৈতিক সংঘর্ষের ফল। পাল্টা সরকারি আইনজীবী আদালতে জানান, বুধবার অভিযুক্তদের ‘গেট প্যাটার্ন’ পরীক্ষা হবে। হাঁটার ভঙ্গি দেখে কলেজের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা হবে। আদালত নির্দেশ দেয়, জেলে থাকাকালীন অভিযুক্তদের প্রয়োজনীয় সব জিনিস দিতে হবে। পুলিশ জেরা করলে, মনোজিতের পাশে তাঁর দুই আইনজীবী থাকতে পারবেন। তদন্ত এখনও চলছে, শীঘ্রই চার্জশিটও জমা পড়বে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অন্য খবর দেখুন