ঋতভাষ চট্টোপাধ্যায়, সিউড়ি- মুখ্যমন্ত্রীর (Cm Mamata Banerjee) জেলা সফর শেষ হতেই তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (Conflict) । অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) অনুগামীদের অভিযোগ কাজল (Kajal Sheikh) অনুগামীরা মারধর করেছে। পাল্টা কাজল অনুগামীদের দাবি, ওরাই বরং আমাদের লোকজনক মারধর করেছে। দুপক্ষের মধ্যে মারামারি ঘিরে তুমুল উত্তেজনা। আহত চার। ঘটনায় উত্তেজনা সিউড়ি ২ ব্লকের অবিনাশপুর এলাকায়। এমনকি তৃণমূলের অঞ্চল সভানেত্রীর স্বামীকেও মারধরের অভিযোগ। আহতরা সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Siuri Super Specialty Hospital) ভর্তি।
এদিন সন্ধ্যায় অবিনাশপুর অঞ্চলের তৃণমূলের তনুজা ধীবর স্বামী এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। অনুব্রত মণ্ডল অনুগামীদের অভিযোগ, সেই সময় এলাকার ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল সেখ অনুগামী হিসাবে পরিচিত এলাকার অঞ্চল সভাপতি রাজু মুখোপাধ্যায় ও তাঁর লোকজন বোমাবাজি করে এবং মারধর করে। এরপরেই আহতদের সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। যদিও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি তৃণমূলের অবিনাশপুর অঞ্চল সভাপতি রাজু মুখোপাধ্যায়ের। তিনি ফোনে জানান, ওরা একজনকে মারধর করে। পরে ইট পাথর নিয়ে পার্টি অফিসে হামলা চালায়। বোমাবাজিও করে। আমাদের একজন গুরুতর আহত।
আরও পড়ুন- কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ঢুকবে টাকা: মমতা
উল্লেখ্য, ভাষা আন্দোলনকে সামনে রেখে বোলপুরে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৭ জুলাই রাতে বোলপুরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। শান্তিনিকেতনের বল্লভপুরে রাঙাবিতান গেস্ট হাউসে চপমুড়ি নিয়ে পৌঁছে যান কেষ্ট। তাঁর সঙ্গে প্রায় ১০ মিনিট কথা বলেন নেত্রী। সেখান থেকেই অনুব্রত মণ্ডলকে সকলকে নিয়ে চলার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৮ জুলাই বোলপুর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন অনুব্রত। মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এক সারিতেই বসেছিলেন তিনি। কিন্তু তার পর! মুখ্যমন্ত্রীর ‘সবাইকে নিয়ে চলবি’ বার্তা দেওয়াই সার হল, মুখ্যমন্ত্রী সফরের ১২ ঘণ্টার মধ্যেই অনুব্রত ও কাজল শেখ গোষ্ঠীর কোন্দলে উত্তপ্ত হল বীরভূম।
দেখুন আরও খবর-