Friday, August 22, 2025
HomeScrollপ্রেমিকা সহ পরিবারের পাঁচ সদস্যকে খুন! থানায় আত্মসমর্পণ প্রেমিকের

প্রেমিকা সহ পরিবারের পাঁচ সদস্যকে খুন! থানায় আত্মসমর্পণ প্রেমিকের

কেরল: পরিবারের একের এক সদস্যকে খুন (Kerala Mass Murder)। প্রথমে প্রেমিকা। তারপর ঠাকুমা। এরপর কাকা ও কাকিমা। ছোট ভাই স্কুল থেকে ফিরলে, তাঁকেও মেরে ফেলে বছর ২৩-এর দাদা। তারপর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ। একটাই দাবি, ‘চাই সোনা।’ ধার দেনা থেকে মুক্ত হতে চায় সে। ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের ভেঞ্জারমুডু অঞ্চলে।

এরপরই মাকে আক্রমণ। ছেলে ঋণে জর্জরিত তা আগে থেকেই জানত মা। তাই টাকা ও সোনার গয়না দিতে অস্বীকার করেন। রেগে মাকে হাতুড়ি দিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল ছেলে আফান। কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। তিরুবন্তপুরমের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাঁচটি মৃত্যুর তথ্যই নিশ্চিত করেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। আফানকে গ্রেফতারও করেছে স্থানীয় থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন: জাল সিম কাণ্ডে পুলিশের জালে ১১

জানা গিয়েছে, বছর ২৩-এর আফানের উদ্দেশ্য ছিল ধার-দেনা থেকে মুক্তি পাওয়া। তার টাকার প্রয়োজন ছিল সেকথা আগেই জানিয়েছিল মাকে। কিন্তু আফানের মা সাফ জানান, তিনি এই দাবি মেটাতে পারবেন না। রাগে মনে মনে সে ফন্দি আঁটে, যেনতেন প্রকারে সে সোনা ছিনিয়ে নেবে। যদি তাঁকে কেউ বাঁধা দেয়, তবে প্রাণ নিতেও দ্বিধাবোধ করবে না।

স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে প্রেমিকার থেকে সোনা চায় আফান। না-মিলতেই খুন করে ফারজানাকে৷ তাঁর শরীর থেকে সোনার গয়না খুলে নেয়৷ পরে রাগে ভাইকে খুন করে৷ এরপর মাকে মারতে উদ্যত হয়৷ মাকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করার পর, সে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে৷

এরপর ২২ কিলোমিটার বাইক নিয়ে গিয়ে ঠাকুমার উপর হামলা করে৷ ঠাকুমাকে মেরে খুলে নেয় সব গয়না৷ এরপর সেখান থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে পৌঁছয় কাকার বাড়িতে৷ সোনার জন্য কাকা ও কাকিমাকেও খুন করে সে৷ সেখান থেকে থানা গিয়ে আত্মসমর্পণ৷ জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, নিজেও নাকি বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল৷ এরপরই যুবকের বাড়িতে পৌঁছোয় স্থানীয় থানার পুলিশ। আফানের মাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।

দেখুন আরও খবর:

 

Read More

Latest News