ওয়েব ডেস্ক: বুধবারের রোদ ঝলমলে আকাশ দেখে বোঝার উপায়ই নেই মঙ্গলবার ঝড় বয়ে গিয়েছে শহরে! ঝড়ই বটে। একটানা ৫ ঘণ্টার প্রবল বৃষ্টিতে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল জনজীবন। কোথাও কোমর সমান আবার কোথাও হাঁটু সমান জলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল পথচলতি মানুষ থেকে অফিস যাত্রীদের। জল যন্ত্রণা কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে শহর কলকাতা। তবে এখনও পুরোপুরি সমস্যা মেটেনি। বুধবার সকালেও জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে শহরবাসীকে। পুরনিগমের কর্মীদের তৎপরতায় শহরের কিছু জায়গায় জল নামলেও এখনও জলের তলায় উওর থেকে দক্ষিণের একাধিক জায়গা। বুধবার সকাল থেকেই পুরসভার কর্মীদের ওই এলাকাগুলি থেকে জল সরাতে দেখা গিয়েছে।
মঙ্গলবার শহর কলকাতার নানান জায়গায় জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বেলার দিকে জমা জল সরাতে মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) নিজে ছাতা হাতে রাস্তায় নেমেছিলেন। মঙ্গলবার সকলকে বাড়ি থেকে না বেরনোরই পরামর্শ দিয়েছিলেন মেয়র। ওয়ার্ক ফ্রম হোম বা খুব প্রয়োজন ছাড়া অফিসে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বুধবার সকালে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় অনেকেই অফিস যাচ্ছেন। আবহাওয়ার উন্নতি হলেও এখনও তীব্র যানজট শহরে। কারণ দিকে দিকে জমে রয়েছে বৃষ্টির জল।
আরও পড়ুন: ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে
কোথায় কোথায় জমে রয়েছে জল?
বুধবার সকালেও জল জমে রয়েছে উত্তর থেকে দক্ষিণে। একহাঁটু জল পেরিয়েই কাজে যেতে হচ্ছে অফিস যাত্রীদের। উত্তর কলকাতার ঠনঠনিয়া, সুকিয়া স্রিট, রাজা রামমোহন সরণী, কেশবচন্দ্র সেন স্ট্রিট এখনও জলমগ্ন। অন্যদিকে দক্ষিণ কলকাতার টেগোর পার্ক, আনন্দ পালিত রোড, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ, পাম অ্যাভিনিউ, পাটুলি, রবীন্দ্রসদন, কসবা, বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে জমে রয়েছে জল। জল জমে আছে ভিআইপি বাজার এলাকাতেও। পুরসভার কর্মীরা এই মুহূর্তে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জল নামানোর কাজে উদ্যোগী হয়েছেন। তাই তৃতীয়ার দিনেও জমা জল ঠেলে ধীর গতিতে এগিয়ে চলেছে যান বাহন। জল জমে থাকার কারণে স্বাভাবিকভাবেই এখন ক্ষোভে ফুসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সময় যত গড়াবে জল নামবে বলে মনে করছেন পুর আধিকারিকরা কিন্তু কতক্ষণে নামবে তা স্পষ্ট নয়।
দেখুন অন্য খবর