কলকাতা: শিক্ষা নিয়োগ (Teacher Recruitment) দুর্নীতিতে (Corruption) ফের গ্রেফতার (Arrest)। এস বসু রায় সংস্থার অন্যতম কর্ণধার পার্থ সেনকে সোমবার সিবিআই (CBI) গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিকের টেট (Tet) পরীক্ষার ওএমআর শিট বিকৃত করার অভিযোগ রয়েছে পার্থর বিরুদ্ধে। এই সংস্থাকেই ওএমআর শিট তৈরির বরাত দিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
পর্ষদ সূত্রের খবর, চেয়ারম্যান থাকাকালীন মানিক ভট্টাচার্য একক সিদ্ধান্ত নিয়ে ওএমআর শিটের দায়িত্ব দেন এস বসু রায় সংস্থাকে। পর্যদের একাধিক কর্তা আদালতে মানিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তিনি একাই এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতেন। পর্ষদের সার্ভার রুমে মানিক ভট্টাচার্য ছাড়া কারও প্রবেশাধিকার ছিল না। এই সব বেসরকারি সংস্থার লোকজনকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না, তা জানতে চেয়ে একাধিকবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিরা ইডি এবং সিবিআইকে তোপ দাগেন।
আরও পড়ুন: বেআইনি পুজোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ কোর্টের
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়কে রক্ষাকবচ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। গত সপ্তাহে ইডি তলবের নোটিস দেয় সুমিতকে। তাকে চ্যালেঞ্জ করে সুমিত বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলা করেন। আদালত সোমবার শুনানির দিন ধার্য করে ইডিকে বলে, তারা যেন হাজিরার সময় বেলা বারোটার পর করে। এদিন মামলার শুনানি হয় সকাল সাড়ে দশটায়। আদালত সুমিতকে রক্ষাকবচ দেয়নি। শুনানি শেষে তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর সুবাদেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় অভিষেকের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের। এর আগেও সুমিতকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। আদালত অভিষেকের সংস্থার সব ডিরেক্টর, সদস্য এবং পদস্থ কর্তাদের সম্পত্তির খতিয়ান চেয়েছিল ইডির কাছে। কিন্তু ইডি যে রিপোর্ট দেয়, তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি আদালত। অভিষেককে বিস্তারিত রিপোর্ট ১০ অক্টোবরের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়। অভিষেকের মা লতা এবং বাবা অমিতও যথাক্রমে হাজার এবং বারোশো পাতার নথি জমা দেন। তাঁরাও অভিষেকের সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন।
আরও খবর দেখুন