ওয়েবডেস্ক- লিভ ইন সঙ্গীর (Live in Partner) হাতে খুন মহিলা ইন্সপেক্টর। অভিযুক্ত একজন সিআরপিএফ জওয়ান (CRPF Jawan )। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের (Gurjat) কচ্ছ জেলায়। ঘটনার পরেই নিজের হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই জওয়ান। কিন্তু সেই চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নিজেই আঞ্জার থানায় (Anjar Police Station) গিয়ে আত্মসম্পর্পণ করেন। ওই থানাতেই কর্মরত ছিলেন মহিলা ইন্সপেক্টর অরুণাবেন নাটুভাই যাদব (ASI Aruna Natubhai Jadav) । ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মৃতা একজন অ্যাসিসট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টরের পদে কর্মরত ছিলেন। অভিযুক্তের নাম দিলীপ ডাঙছিয়া (Dilip Dagchia) । তিনি মণিপুরে (Manipur) সিআরপিএফ জওয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ছুটিতে তিনি কচ্ছে ফিরেছিলেন। দিলীপ ও তার লিভ ইন সঙ্গী অরুণা একই ফ্ল্যাটে থাকতেন। শুক্রবার তাঁর দু’জনে তাঁরা কেনাকাটা করতে বেরিয়েছিলেন। দু’জনেই কাজ থেকে কয়েকদিনের ছুটিও নিয়েছিলেন বেড়াতে যাবেন বলে।
সেই কারণেই আহমেদাবাদে কেনাকাটা সারতে আসেন। কিন্তু বাড়ি ফেরার পরেই দুজনের মধ্যে কোনও কারণে বচসা শুরু হয়। তখনই অরুণার গলা টিপে ধরে দিলীপ। শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় অরুণার। মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সিআরপিএফ জওয়ান দিলীপ। কিন্তু সেখানে ব্যর্থ হন তিনি।
আরও পড়ুন- মথুরায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা, মৃত ৬
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকালে এক ব্যক্তি সকালে এসে জানান তিনি তার লিভ সঙ্গীকে খুন করেছেন। ওই থানাতেই কর্মরত ছিলেন অরুণা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে দু’জনের মধ্যে অশান্তি চলছিল। শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত অরুণার দেহ ঘরে নিয়ে আগলে বসেছিলেন দিলীপ। পরে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
২০২১ সাল থেকে দুজনেই একে অপরে সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। আঞ্জার অঞ্চলে একটি ফ্ল্যাট নিয়ে থাকতেন।
পুলিশ সুপার মুকেশ চৌধুরী বলেন, যে দুই দম্পতির মধ্যে তীব্র তর্ক-বিতর্কের পর এই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। জানা গেছে, দিলীপের মাকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করেছিলেন অরুণা, রেগে গিয়ে এবং তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। পুলিশকে সিআরপিএফ জওয়ান জানিয়েছেন, তিনি তার রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। দুজনে বিয়ে পরিকল্পনা করেছিলেন। পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS) এর ধারায় একটি খুনের মামলা দায়ের করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে।
দেখুন আরও খবর-