কলকাতা: মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ এবং ভোটগণনার সংখ্যায় বিস্তর গরমিল লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেখানের একাধিক আসনে পরিসংখ্যানের ফারাক চোখে পড়ছে। নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রে ভোটার তালিকার ৬৬.০৫ শতাংশ ভোটার নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। অর্থাৎ, সেই রাজ্যে মোট ৬,৪০,৮৮,১৯৫টি ভোট পড়েছিল। তবে, ভোট গণনার পর ভোটাদাতার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬,৪৫,৯২,৫০৮। অর্থাৎ, চূড়ান্ত ভোটারের তুলনায় ৫,০৪,৩১৩টি ভোট বেশি গণনা করা হয়েছে। তথ্য বলছে, রাজ্যের ৮টি আসনে গণনা হওয়া ভোটের সংখ্যা ভোটপ্রদানের তুলনায় কম ছিল। বাকি ২৮০টি আসনে গণনা হওয়া ভোটের সংখ্যা গৃহীত ভোটের তুলনায় বেশি ছিল। সবচেয়ে বেশি পার্থক্য দেখা গেছে অস্থি কেন্দ্রে। সেখানে ৪,৫৩৮টি ভোটের ফারাক রয়েছে। এদিকে উসমানাবাদ কেন্দ্রে ৪,১৫৫টি ভোটের গরমিল লক্ষ্য করা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘সংবিধান পড়েননি মোদিজি’ তীব্র আক্রমণ রাহুলের
এই পরিস্থিতিতে গত লোকসভা নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি এবং ফর্ম ১৭সি-র সংখ্যা নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক ফের একবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সেই সময়, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করে, যাতে ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভোটকেন্দ্রভিত্তিক তথ্য প্রকাশের দাবি জানানো হয়। তখন ভোটারদের প্রাথমিক এবং চূড়ান্ত উপস্থিতির পরিসংখ্যানের মধ্যে ৫ থেকে ৬ শতাংশ পার্থক্য ছিল। তবে, সুপ্রিম কোর্ট এই আবেদন খারিজ করে। আদালত যুক্তি দেয়, এই ধরণের তথ্য প্রকাশ করলে অপব্যবহারের ঝুঁকি থেকে যাবে। একইসঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত জানায় যে, এই আবেদনের কোনও আইনি ভিত্তি নেই। নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে জানায়, ফর্ম ১৭(সি)-র তথ্য শুধুমাত্র প্রার্থীদের এজেন্টদের জন্য উপলব্ধ। এই তথ্য জনসাধারণের সামনে প্রকাশ করা যায় না বলে যুক্তি খাঁড়া করে কমিশন। যদিও মহারাষ্ট্রের এই বিতর্ক নিয়ে এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি নির্বাচন কমিশন।
দেখুন আরও খবর: