কলকাতা: কসবা কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রকে ল কলেজের অস্থায়ী কর্মীর পদ থেকে বরখাস্ত করা হল। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত দুই ছাত্রকেও বরখাস্ত করার সুপারিশ করে শিক্ষাদফতর। কসবায় সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের (Kasba South Calcutta Law College) মধ্যেই আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ সে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতা তথা ওই কলেজের অস্থায়ী কর্মী। ইতিমধ্যেই সেই মনোজিৎ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবার সেই মনোজিৎকে অস্থায়ী কর্মীর পদ থেকে বরখাস্ত করা হল।
কসবা কাণ্ডের (Kasba Incident) জের, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ (South Calcutta Law College)। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিল গর্ভনিং বডি। ইতিমধ্যেই ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। কলেজের বর্তমান ছাত্রছাত্রীরাও বিক্ষোভ মিছিল করছেন। তাঁদের দাবি ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীদের অবিলম্বে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। কসবা কাণ্ডের জল আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। সোমবার এই ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই ঘটনা নিয়ে তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সম্ভবত আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি।
আরও পড়ুন: অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ
গত শুক্রবার কসবা ল’ কলেজের গণধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। গত বুধবারের ওই ঘটনার তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত TMCP নেতা মনোজিৎ মিশ্র-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। পাশপাশি ঘটনার দিনের কলেজের সিসিটিভি ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। নির্যাতিতা তরুণীর গোপন বয়ানও নিয়েছে পুলিশ। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কিন্তু পুলিশি তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। লালবাজারের সূত্র জানিয়েছে, প্রথমে বিশেষ তদন্তকারী দল বা ‘সিট’-এর পাঁচজন সদস্য কাজ শুরু করেন। এদিন ‘সিট’-এর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়। এখন ন’জন ‘সিট’ সদস্য তদন্ত করছেন। নির্যাতিতা ছাত্রী ও তিন অভিযুক্তর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
অন্য খবর দেখুন