সাগর: ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি মকরস্নান। গঙ্গাসাগরে মেলা শুরুর আগের দুদিনের জন্য পরিস্থিতি পরিদর্শনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার দুপুরে সাগর হেলিপ্যাডে নামেন মুখ্যমন্ত্রী। শারীরিক অসুস্থতার প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সোমবার সাগরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গাসাগর মেলার উদ্বোধন করেন তিনি। সাগর হেলিপ্যাডে নেমে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela) কেন্দ্রের তরফে স্বীকৃতি না দেওয়াকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মমতা। কুম্ভমেলায় কেন্দ্র সাহায্য দেয়। গঙ্গাসাগর মেলা কুম্ভ মেলার (Kumbh Mela) থেকে বড় মেলা। বিশ্বের সেরা মেলা এটা। ভারত সরকার এটিকে স্বীকৃতি দিল না
এদিন প্রথমে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে যান মুখ্যমন্ত্রী। পরে মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শনের পর কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দেন তিনি। মহন্ত জ্ঞানদাস মহারাজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ করেন। গঙ্গাসাগর মেলার জন্য কেন্দ্র কোনও অর্থ সাহায্য দেয় না, রাজ্য প্রশাসনই করে সমস্ত খরচ জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কুম্ভমেলায় কেন্দ্র সাহায্য দেয়। গঙ্গাসাগর মেলা কুম্ভ মেলার থেকে বড় মেলা। কেন্দ্র একটা টাকা ও দেয় না। কুম্ভমেলা বাস-ট্রেনের ব্যবস্থা রয়েছে, কিন্তু এই মেলায় জল পেরিয়ে আসতে হয় পূর্ণার্থীদের। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোক আলেন এই মেলাতে। গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন কেন্দ্র স্বীকৃতি দিল না জানি না। সবটাই রাজ্যের তরফে করা হয়। অথচ কুম্ভ মেলাকে কেন্দ্র টাকা দেয়। এদিন রাজ্য সরকাররের কাজের প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। পানীয় জল প্রকল্প, পাথরপ্রতিমায় গঙ্গা সেতু, নামখানায় ফুটব্রিজ, হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীসেতু প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: পিছনে বড় কেলেঙ্কারি, অভিযোগ শুভেন্দুর
মমতা আরও বলেন, আমি একসময় গঙ্গাসাগর আসতাম। দেখতাম কিছুই নেই। ছোটবেলায় শুনতাম সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার। কিন্তু এখন তীর্থ একবার গঙ্গাসাগর বারবার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ নামখানা,পাথর প্রতিমার ৭০০ কোটি টাকা প্রকল্পের উদ্বোধন হবে। সাগর ও তার আশেপাশের প্রায় ১৬০ কোটি টাকা প্রকল্পের উদ্বোধন হয়েছে।
ইতিমধ্যে গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে সেজে উঠেছে কপিল মুনির আশ্রম। চলতি বছরে প্রায় ৪০ লক্ষ পুণ্যার্থী ভিড় করতে পারেন সাগরে। এমনটাই মনে করছে প্রশাসন। রঙিন আলোতে সাজানো হয়েছে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির মন্দির। জোরদার করা হয়েছে সাগরমেলার নিরাপত্তা। রাজ্য সরকারের তরফে পুণ্যার্থীদের জন্য সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট সাড়ে চার হাজার বাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ১০ হাজার শৌচালয়, কপিলমুনির আশ্রম প্রাঙ্গনে গেস্ট হাউস ২১ টি জেটি থেকে যাতায়াত করবে ১০০ টি লঞ্চ। থাকছে ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স ও এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স। মেলা প্রাঙ্গণেই চিকিৎসার ব্যবস্থা থেকে নার্স, প্যারামেডিক্যাল থাকবেন। মেগা কন্ট্রোলরুমে থাকছে ১ হাজার ১৫০ টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। রাখা হচ্ছে দমকলের ৫০ টি ইঞ্জিন।
আরও অন্য খবর দেখুন