কলকাতা: মঙ্গলবার ক্ষুদিরাম বসুর (Khudiram Bose) ফাঁসির রায়ের নথি হাতে আসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। সেই আত্মবলিদানের দলিল দেখে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি চান, ক্ষুদিরাম বসুকে ভাষা সন্ত্রাসীদের অপমানের বিরুদ্ধে গর্জে উঠুক বাংলা। প্রসঙ্গত, হিন্দি সিনেমায় ক্ষুদিরাম বসুকে বলা হয়েছে ক্ষুদিরাম সিং! বাংলার কিশোর বিপ্লবীকে বলেছে পাঞ্জাবের ছেলে! এর বিরুদ্ধে সোমবার ক্ষুদিরামের ফাঁসির দিনে বিজেপিকে তোপও দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, এবার এই ঐতিহাসিক নথিটি পুলিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
‘ত্রৈলোক্যনাথ বসুর পুত্র ক্ষুদিরাম বসুকে তাঁর অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় প্রাণদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সেশন কোর্ট যে ট্রায়াল করেছিল এবং যে রায় দিয়েছিল, তা বহাল রেখে আসামিপক্ষের আবেদন খারিজ করা হচ্ছে।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এসেছে ফোর্ট উইলিয়ামে বেঙ্গল হাই কোর্টের রায়ের সেই ঐতিহাসিক নথি। সেখানেই বীর বিপ্লবী শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসির রায়ের উল্লেখ রয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী চান, স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার বিপ্লবীদের একটি উজ্বল অধ্যায়কে যেন সামনে থেকে দেখতে পারেন দেশের মানুষ। সেই কারণে, ঐতিহাসিক নথিটি পুলিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
সরকারি নথিতে দেখা যাচ্ছে, ব্রিটিশ শাসকের পক্ষে হাই কোর্টের দুই বিচারপতি ১৯০৮ সালের ১৩ জুলাইয়ের রায়ে ক্ষুদিরাম বসুর আপিল খারিজ করেন। শহিদ ক্ষুদিরামের ফাঁসির নথি এবার প্রকাশ্যে এল। এবার সেই ফাঁসির রায়ের ঐতিহাসিক নথিটিও তিনি তুলে ধরতে চান বাংলার মানুষের সামনে।
দেখুন খবর: