ওয়েবডেস্ক- তিস্তা ব্যারেজ (Teesta Barrage) থেকে জল ছাড়ার (Water Release) দরুণ নতুন করে কিছু এলাকা প্লাবিত (Flooded)। তিস্তা অধ্যুষিত নিচু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। তার জেরে মেখলিগঞ্জে (Mekhliganj) ৫৫টি পরিবারকে আশ্রয় শিবিরে পাঠানো হল। সালুগোড়াতে ৮২ টি পরিবারকে আশ্রয় শিবিরে পাঠানো হল। গতকালই জলপাইগুড়ি টোটগাঁওতে ৪৩ টি পরিবারকে আশ্রয় শিবিরে পাঠানো হয়েছিল। রবিঝোরা ও ২৯ মাইল এলাকায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে বইছে নদীর জল। তিস্তা নদীর জল বাড়তে থাকায় মেখলিগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা (Red Alert) জারি রয়েছে। অন্যদিকে পদ্মা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা ব্লকে ৬৭ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।
একদিকে বর্ষা (Monsoon) অপরদিকে ঘূর্ণাবর্ত এই দুইয়ের প্রভাবে অতিবৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পাহাড় থেকে সমতল। অবিরাম বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর জল ফুঁসছে। ইতিমধ্যেই লাল সতর্করা জারি করেছে সেচ দফতর। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে লাল সতর্কতা জারি রয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিকে নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়েও তিস্তা নদীর জল বইছে।
আরও পড়ুন- দক্ষিণবঙ্গের ১১টি জেলায় আজ অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, বন্যার আশঙ্কা
বুধবার সকাল ৮টা থেকে গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে ১৭৬২.৫৩ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। সেচ দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রয়োজন অনুযায়ী দফায় দফায় জল ছাড়া হচ্ছে। এর ফলে তিস্তায় জলস্ফীতি অব্যাহত। জাতীয় সড়ক NH31-এর পাশে জলঢাকা নদীতে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। তবে জলস্তর বাড়লেও পরিস্থিতি এখনও পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অতি সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চালকদের। ময়নাগুড়ির দোমহনী এলাকার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তিস্তার দোমহনী অংশে নদীর জলস্তর কমে আসায় সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
বাংলা -সিকিম লাইফ লাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সমস্যায় নিত্যযাত্রী থেকে পর্যটকরা। মেল্লি ও তিস্তা বাজারে মাইকিং করা হচ্ছে। নদীর জল জাতীয় সড়কের ওপর চলে আসায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মালবাজারের টট গাও, টাকিমারি, চাপাডাঙা এলাকায় তিস্তার জল ঢুকে গিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
দেখুন আরও খবর-