কলকাতা: মেদিনীপুর মেডিক্যালের প্রসূতি মৃত্যুতে (Medinipur medical case) বাড়ছে রহস্য। প্রসূতিদের পরিবারের লোকজনকে দিয়ে আরও তিন প্রসূতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তিনজন রোগীর মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিলই। এখন তাঁরা ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। এসএসকেএম হাসপাতালের ডিরেক্টর জানান, ‘ডাক্তার এবং গোটা মেডিক্যাল বোর্ড তাঁদের চিকিৎসা করছেন।
সোমবার স্বাস্থ্য ভবনে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করে ১৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি। যদিও পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে সময় লাগবে বলে কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, ঘটনার কারণ নিয়ে এখনই ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া সম্ভব নয়। এখনও মৃত প্রসূতির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসে পৌঁছয়নি। এছাড়াও স্যালাইনসহ অন্যান্য যে সমস্ত ওষুধের ব্যবহার কার হয়েছিল তার টেস্ট রিপোর্ট আসেনি। তাই তার জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে হিউম্যান এরর কিছু ধরা পড়েছে। সেগুলো কেন হয়েছে তা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের কাছ থেকে জানতে যাওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনায় চিকিৎসার গাফিলতিও যে ছিল তা তদন্তে প্রাথমিকভাবে উঠে আসছে। তবে এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য ডক্টর সৌমিত্র ঘোষ জানিয়েছেন, চিকিৎসকের অনুপস্থিতি, কর্তব্যে গাফিলতি ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুন: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কাণ্ডে সিআইডি তদন্ত, নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
বৈঠকে তিনি আরও জানান, একটি মুচলেখা লেখানো হয়েছে রোগীর বাড়ির লোকেদের কাছ থেকে। সব কিছুই জেনেও চিকিৎসার অনুমতি দিলাম’। এই বয়ানের নীচে লেখা ছিল স্যালাইনের ব্যাচ নম্বর। অনুমান, পরিবারকে দিয়ে এই মুচলেকা প্রসবের পরে সই করানো হয়েছিল। যারাই সিজারের পর অসুস্থ হয়েছিলেন তাদের সবার বাড়ির কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়। সেই মুচলেকাতে যে ধরনের শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে তা সাধারণত ইউজ করা হয় না। সেখানে স্যালাইন, ওষুধ এগুলো ব্যবহারে রোগী খারাপ হতে পারে এ কথা লিখিয়ে নেওয়া হয়। ডক্টর সৌমিত্র ঘোষ বলেন, লেখার ধরণ দেখে বোঝা যাচ্ছে প্রসূতি সন্তান প্রসবের পর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়, তখনই লেখানো হয়েছে। এবং আটই জানুয়ারি রাতে লেবার রুমে কর্মরত কোন চিকিৎসকই লিখিয়েছেন।
অন্য খবর দেখুন