ওয়েবডেস্ক- ক্রমশই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে হিমাচলের (Himachal) আবহাওয়ার পরিস্থিতি। প্রবল বৃষ্টি (Heavy Rain) ও ভূমিধসে (Landslide) বিপর্যস্ত এই পাহাড়ি রাজ্যটি। এখনও পর্যন্ত ৩৬২ টি রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে। কমপক্ষে প্রাণহানি হয়েছে ১১২ জনের, নিখোঁজ ৩৭। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন জেলায় ৭০৪টি বিদ্যুৎ ট্রান্সফরমার এবং ১৭৮টি জল সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত। ২০ জুন বর্ষা আসার পর থেকে রাজ্যে ১,৯৮৮ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে, হিমাচল প্রদেশে ৫৮টি আকস্মিক বন্যা (Flood), ৩০টি মেঘ ভাঙনের ঘটনা এবং ৫৩টি বড় ধরনের ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। আইএমডি আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে। বৃষ্টিপাতের মাত্রাও গড়ের চেয়ে বেশি, ১ জুন থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে ৫০৩ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা স্বাভাবিক ৪৪৫.৭ মিমি বৃষ্টিপাতের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি।
সিমলার আবহাওয়া বিভাগ রবিবার হলুদ সতর্কতা (Yellow Alert) জারি করেছে। সেইসঙ্গে প্রবল বৃষ্টি বিচ্ছিন্ন এলাকায় বজ্রপাত এবং বজ্রপাত সহ ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। সোমবার থেকে বুধবারের জন্য আরও তীব্র কমলা সতর্কতা (Orange Alert) জারি করা হয়েছে। দুই থেকে চারটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে যমুনা, দিল্লিবাসীকে সতর্কতা ট্রাফিকের
সক্রিয় বর্ষা (Active Monsoon)। বিগত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি ও ভূমিধসে ছাড়খাড় হয়ে গেছে এই পাহাড়ি রাজ্যটি। যানবাহন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, ৩৬২টি সড়ক পথ বন্ধ। অন্যতম খারাপ অবস্থার মধ্যে রয়েছে মান্ডি। ভূমিধসে ২২০ টির বেশি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কুল্লুতেও একই অবস্থা, বন্ধ ৯১টি রাস্তা। শনিবার, রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে। সুন্দরনগর, মুরারি দেবী, কাংড়া, ভুন্টার, সিমলা, জুব্বারহাট্টি এবং জোতে বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার সেইসঙ্গে বৃষ্টি, অন্যদিকে সেওবাগ এবং ধৌলাকুয়ান ৪৬-৫০ কিমি/ঘন্টা বেগে দমকা হাওয়া অনুভূত হয়েছে।
দেখুন আরও খবর-