কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্ট আগেই জানিয়েছিল শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখাতে পারেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু শনিবার দেখা গেল সম্পূর্ণ অন্য ছবি। অরাজনৈতিক নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) কার্যত বিজেপির দখলে চলে যায়। বিক্ষোভকারীরা আক্রমণ চালায় পুলিশ কর্মীদের উপর। কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশের উপর হামলা, হুমকি, আদালত অবমাননা-সহ একাধিক অভিযোগে বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা, সাংসদ অগ্নিমিত্রা পাল-সহ একাধিক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মোট সাতটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। মোট ৭টি এফআইআর দায়ের নিউ মার্কেট ও হেয়ার স্ট্রিট থানায়।
শনিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন আর জি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বাবা-মা। যা ছিল অরাজনৈতিক। কিন্তু পুরো ভাগ দখল নেয় বিজেপির নেতারা। ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, অশোক দিন্দ, অগ্নিমিত্রা পালের মতো রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির নেতারা। যার জেরে অপাজনৈতিক মিছিল খানিক রাজনৈতিক মিছিলের রূপ নেয়। পুলিশের দাবি, অভিযানের সময় পাঁচজন পুলিশকর্মী গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন। ইতিমধ্যেই জহরলাল নেহেরু রোডে পুলিশের উপর হামলার একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের শনাক্তকরণের কাজ চলছে। শনিবার পার্ক স্ট্রিটে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে বিক্ষোভকারীদের। সাঁতরাগাছিতেও উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ বাধা দিতে গেলে তাদের উপর হামলা ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে। সেই মর্মেই একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে একা শুভেন্দু, দল কি পাশে নেই?
পুলিশের বিরুদ্ধেই গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, অভিযানে শান্তিপূর্ণভাবে অংশ নেওয়া সত্ত্বেও পুলিশ লাঠিচার্জ চালিয়েছে। এমনকি, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নিহত চিকিৎসক ছাত্রীর মা–বাবাকেও মারধর করা হয়েছে। মনোজ ভার্মার পুলিশ অভয়ার মা–বাবাকেও ছাড়েনি।” তিনি আরও দাবি করেন, পুলিশের হামলায় শতাধিক মানুষ জখম হয়েছেন এবং জাতীয় পতাকার অবমাননাও হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। ফলে, নবান্ন অভিযানের পরবর্তী রাজনীতিতে উত্তেজনা আরও বাড়ছে।
অন্য খবর দেখুন