জাহাঙ্গীর হোসেন, ভাঙড়: ভাঙড়ে (Bhangar) এবার সিঙ্গুর- নন্দীগ্রামের (Singur-Nandigram) আন্দোলনের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে সকলকে এক জোট হয়ে আন্দোলনে নামার ডাক দিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (Naushad Siddiqui)।
নওশাদের হুঁশিয়ারি অবিলম্বে কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন করব। তিনি বলেন, এক ছটাক জায়গা ছাড়া যাবে না। প্রয়োজনে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম এমনকি ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিডের মতন জমি আন্দোলন সংগঠিত হবে। শওকত সাহেব পার পাবে না। বার বার উপর নেতৃত্বের নাম ভাঙ্গিয়ে অনৈতিক কাজ করছে। উনি কি ভাবছে অভিষেক-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওনাকে বাঁচিয়ে নেবে।
নওশাদের হুংকার কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি ওয়েটল্যান্ড নষ্ট হচ্ছে।এর ফলে দেশের সম্মান নষ্ট হচ্ছে,কলকাতার ফুসফুস নষ্ট হচ্ছে। এটা আমি ছেড়ে দেব না। দরকার হলে কলকাতা হাইকোর্ট এমনকি গ্রিন ট্রাইব্যুনালে মামলা করব।
আরও পড়ুন- বন্যা পরিস্থিতি লাভপুরে, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ স্কুলের পরীক্ষা
পাট্টার জমি কি ভাবে হস্তান্তর করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন নওশাদ। তার দাবি, পাট্টার জমি কখনো হস্তান্তর করা যায় না। সেই জমি হস্তান্তর হচ্ছে কি ভাবে?
সরকারি সম্পত্তির টাকা সরকারি প্রসেস মেনে জমি হস্তান্তর না হয়ে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকাত মোল্লা এবং তৃণমূল নেতা রাকেশ রায় চৌধুরীর কোষাগারে যাচ্ছে বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।
অপরদিকে শওকাত মোল্লার দাবি, আমরা গরীব মানুষের পাশে আছি। গরীব মানুষের পাশে থাকব। কিছু দালাল মিডিয়া আর কিছু দালাল মানুষ কে বিভ্রান্ত করছে।
শওকাতের দাবি, যারা জমি কিনেছিল তারা কাজ করছিল কিছু মানুষের একটা দাবি ছিল। আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কে বলি। কাজ বন্ধ আছে। পুলিশ দুই পক্ষের কাগজপত্র দেখছে।
দেখুন আরও খবর-