ওয়েব ডেস্ক: শনিবারের নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhiyan) পর চড়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ। অভিযানের এদিন আগে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য পুলিশ জানিয়েছিল যে, নবান্ন অভিযানের জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। আর আজ মঙ্গলবার লালবাজার থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথাতেই ফের একবার সিলমোহর দিলেন যুগ্ম কমিশনার হেডকোয়ার্টার মিরাজ খালিদ।
এদিন বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, নবান্ন অভিযানে কোনও অনুমতি ছিল না। সমাজ মাধ্যমে দেখে নবান্ন অভিযানের কথা জানতে পারে পুলিশ। হাইকোর্টের নির্দেশে প্রতিবাদের বিকল্প জায়গা বলে দেয় পুলিশ। পুলিশের নির্দেশ উপেক্ষা করেই সাউথের দিকে বিক্ষোভকারীরা এগিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্ট শনিবারের নবান্ন অভিযানে বাঁধা দেয়নি। কারণ কোর্টের মতে, প্রতিবাদ করা মানুষের মৌলিক অধিকার। তবে কোনও সরকারি সম্পত্তি বা হিংসাত্মক ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে নজর রাখা হবে বলে জানানো হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করলে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছিলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ (ADG South Bengal) সুপ্রতীম সরকার। কিন্তু হিংসাত্মক প্রতিবাদ হলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলার বুকে গড়ে উঠবে ‘দুর্গা অঙ্গন’, মন্ত্রিসভার বৈঠকে মিলল সম্মতি
নবান্ন চত্বরে বিএনএস-এর ১৬৩ ধারা জারি থাকায় সেখানে মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। অভিযানের বিকল্প জায়গা হিসেবে সাঁতরাগাছি বাস স্ট্যান্ড ও আর আর এভিনিউকে পুলিশের পক্ষ থেকে ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল। তবে এদিন হাইকোর্ট বা পুলিশের নির্দেশ অমান্যর অভিযোগ তুলেছেন যুগ্ম কমিশনার হেডকোয়ার্টার।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ব্রিফিং করে বিকল্প দুই জায়গায় মিছিলের কথা জানানো সত্ত্বে বহু মানুষ আচমকা রানি-রাসমণি না গিয়ে ডোরিনা গিয়ে সাউথের দিকে মিছিল এগিয়ে নিয়ে যায়। পুলিশ তাঁদের আটকায়। রুটের কথা জানানো সত্ত্বেও তারা কথা না শুনে পার্কস্ট্রিটের দিকে যেতে থাকে। অনেক পুলিশ তাঁদের মারধরে আহত হয়েছে। ৫ জন পুলিশ আহত হয়েছে। ডিসির গার্ড গুরুতর আহত হয়েছেন। ৬ টি কেস রেকর্ড হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর