ওয়েব ডেস্ক: গত কয়েকদিন দিন ধরে টানা বৃষ্টি হয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার-সহ উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলায়। তার জেরে ভুটান পাহাড় বেয়ে জল নামতে শুরু করে নীচের দিকে। সেই জল নামায় ফুলেফেঁপে ওঠে তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকার মতো পাহাড়ি নদী গুলি। জলের তোড়ে ভেঙে যায় দার্জিলিঙের মিরিক ব্লকের দুধিয়া সেতু কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় শিলিগুড়ি ও মিরিকের রাস্তা। কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে বাংলা-সিকিম রাস্তা। তিস্তার জলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কালিম্পং থেকে দার্জিলিং যাওয়ার রাজ্য সড়কও।
তবে কিছু রাস্তা এখনও খোলা রয়েছে যেমন দার্জিলিং-মংপু হয়ে শিলিগুড়ির রাস্তা, পানবু রোড ও মিরিক-পশুপতি,ঘুম-কার্শিয়াঙ রুট।জানাগেছে প্রশাসনের তৎপরতায় কিছু পর্যটক সমতলে ফিরে এসেছেন, যদিও শতাধিক মানুষ এখনও পাহাড়ে আটকে।
আরও পড়ুন: বিপর্যস্ত পাহাড়, নিখোঁজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া
প্রকৃতির রোষে তছনছ উত্তরবঙ্গ। উত্তরবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুর্যোগ পরিস্থিতিতে প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ২৪ জন। নিখোঁজ বহু। ইতিমধ্যেই মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী। সোমবারই উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। প্রাণহানির ঘটনায় সোশাল মিডিয়ায় বাংলায় পোস্ট করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও।
কোচবিহারে কাল থেকে বৃষ্টি হয়নি ফলে তোর্সা নদীর জল নামতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে তোর্সা স্বাভাবিক রূপ নিতে চলেছে। মানুষ যে সমস্ত বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিল তারা ধীরে ধীরে বাড়ি ফিরেছে। তবে ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টি হলে পরে আবারও জল বাড়তে পারে এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে সূত্র মারফত খবর। তবে এখন জল নামতে শুরু করেছে। ফলে স্বস্তির নিঃশ্বাস সাধারণ মানুষের মধ্যে।
বৃষ্টি অব্যাহত জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়ি সেচ দফতর কন্ট্রোল রুম। দফায় দফায় জল ছাড়া হচ্ছে কালিঝরা এবং জলপাইগুড়ি গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে। গতকালের তুলনায় আজ কালিঝরা এবং গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ অনেকটাই কম। আজ সকাল আটটায় ব্যারেজ থেকে ১৪২২ কিউমেক, জলপাইগুড়ির গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে ১২৩৬ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।
ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জেরে বানারহাট ও নাগরাকাটার মধ্যবর্তী ১৭ নং জাতীয় সড়কে যান চলাচল এখনও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সেতুর হাল ঠিক না হওয়ায় যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। তবে কবে কালীখোলা সেতু তৈরি সংস্কার করে চলাচলের যোগ্য করা হবে তা নিয়েও একপ্রকার অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ অবশ্য ইতিমধ্যেই কাজও শুরু করেছে।
দেখুন খবর: