কোলাঘাট: এ যেন ‘পঞ্চায়েত’ ওয়েব সিরিজের তৃতীয় সিজনের বাস্তব রূপ! এই সিজনের সেই বৃদ্ধাকে নিশ্চয়ই আপনাদের মনে আছে, যিনি সরকারি আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়ার জন্য গোয়াল ঘরে থাকতে শুরু করেছিলেন এবং নিজেকে অসুস্থ বলে দাবি করছিলেন! এবার কোলাঘাটের একজন এরকম চালাকি করে আবাস যোজনার টাকা হাতানোর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। কিন্তু সুপার চেকিংয়ে পর্দাফাঁস হল বৃদ্ধের। শেষমেশ আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ গেল অভিযুক্ত জলধর মান্নার নাম। যদিও ঘটনাকে ঘিরে আবার রাজনৈতিক তর্জাও শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: চুপিসারে কুখ্যাত গ্যাংয়ের পিছু নিয়েছিল পুলিশ, তারপর কী ঘটল?
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটে দেউলিয়া বাজার থেকে খন্যাডিহি যাওয়ার পথে পড়ে কুমারহাট গ্রাম। এই গ্রামেই রয়েছে জলধর মান্নার একতলা পাকা বাড়ি। যদিও বাড়ির সামনেই রয়েছে তাঁদের একটা ছোট্ট কুঁড়েঘর। আবাস যোজনার টাকা পাওয়ার জন্য ওই কুঁড়েঘরে থাকতেন তিনি। পাকা বাড়িতে তাঁর দুই ছেলে থাকেন। আবাস যোজনার টাকা পাওয়ার জন্য ছেলেদের ছেড়ে আলাদা থাকার গল্প ফেঁদেছিলেন জলধর মান্না। যদিও প্রকল্পের সুপার চেকিংয়ে গিয়ে সবটা খোলসা হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে জলধরের নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন স্বয়ং ডিএম। যদিও জলধর বাবুর ছেলেদের দাবি, এই অঞ্চল বিজেপির দখলে; তাঁরা তৃণমূল করেন, তাই তাঁদের রাজনৈতিক ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। যদিও এই দাবির সত্যতা এখনও যাচাই করা হয়নি।
দেখুন আরও খবর: