ওয়েব ডেস্ক: ভোট চুরির অভিযোগ ও এসআইআর (SIR) বিরোধিতায় আজ রবিবার থেকে ‘ভোট অধিকার যাত্রায়’ পথে নেমেছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। একদিকে যখন বিরোধী দলনেতা পদযাত্রায় ব্যস্ত সেইসময়ে আজ দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক থেকে ‘ভোট চুরি’ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। বিরোধীদের ভোট চুরির অভিযোগের জবাব দিল কমিশন। ‘ভোট চুরির’ মতো শব্দকে আপত্তিকর শব্দ বলে উল্লেখ করে নাম না করে রাহুলকে দুষলেন তিনি। এদিন তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “কমিশনের ঘাড়ে বন্দুক রেখে জনগণকে নিশানা করে রাজনীতি চলছে। সাধারণ ভোটারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এইভাবে মিথ্যাকে সত্যি করা যাবে না। কারও মিথ্যা অভিযোগে নির্বাচন কমিশন ভয় পায় না।”
নাম না করে রাহুলকে নিশানা করে তিনি জানান, ভোটচুরির মতো আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করে দেশের মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা চলছে। সংবিধানের অপমান করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন কারোর পক্ষে বা বিপক্ষে নয়। সব রাজনৈতিক দল কমিশন থেকেই রেজিস্ট্রেশন পায়। নির্বাচন কমিশনের চোখে সবাই সমান। কমিশন কোনও দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে না।”
আরও পড়ুন: মোদির মেট্রো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেন মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দাবি, রাহুল গান্ধী কমিশনের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি। সাংবিধানিক শপথের মাধ্যমেও নিজের বক্তব্য পেশ করেননি বিরোধী দলনেতা। ভোটার তালিকা তৈরি করার সময়েই বুথস্তরে সব রাজনৈতিক দলকে খসড়া দেওয়া হয়। সেই তালিকায় সংশোধন, সংযোজন এবং বিয়োজন সংক্রান্ত অভিযোগ করার সুযোগ পায় দলগুলি। তাঁদের অভিযোগ শুনেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে কমিশন।
আবার সেই তালিকা প্রকাশের পরও অভিযোগ জানানোর সুযোগ পায় দলগুলি। সেই ভোটার তালিকা অনুযায়ী ভোট করা হয়। জ্ঞানেশ কুমার পাল্টা জানিয়েছেন, এখন বলা হচ্ছে লোকসভা নির্বাচনে ভোটচুরি হয়েছে। এতদিন কেন কেউ অভিযোগ করেনি? এখন রাজনীতির স্বার্থে ভিত্তিহীন অভিযোগ করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।”
দেখুন অন্য খবর