কলকাতা: এসআইআর বা বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এদিন ঘাটাল থেকে ফের একবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘাটালে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে মমতার প্রশ্ন, “রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড কোনওটাই হবে না। তাহলে কোনটা হবে? এই পরিচয় পত্রগুলি ইলেকশন কমিশন, কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে। কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সেই গুলি বৈধ হবে না কেন?”
এসআইআর নিয়ে যখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তখন ঘাটাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে ফের একবার তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই ফের একবার প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসআইআর হলে কী কী নথি দেখাতে হবে তা নিয়ে সন্দিহান সাধারণ মানুষের মনে। সাধারণের মনের কথা তুলে ধরে ঘাটাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে মমতার প্রশ্ন, “রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড কোনওটাই হবে না। তাহলে কোনটা হবে? এই পরিচয় পত্রগুলি ইলেকশন কমিশন, কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে। কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সেই গুলি বৈধ হবে না কেন?”
আরও পড়ুন: বর্ষা শেষ হলেই ঘাটালকে প্লাবনমুক্ত করার কাজ পুরোদমে শুরু হবে: মমতা
একেই টানা বৃষ্টি। অন্যদিকে ডিভিসির ছাড়া জল। জোড়া ফলায় জলমগ্ন নীচু এলাকাগুলি। প্লাবন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। ঘরছাড়া হয়েছে বহু মানুষ। যার জেরে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার ডিভিসি ক্রমশ বাংলা বিরোধী হয়ে উঠছে বলেও কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরও বদল নেই ছবির। মঙ্গলবার সকাল থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়াল ডিভিসি। মাইথন ও পাঞ্চেত দুই জলাধার থেকে 57 হাজার 648 কিউসেক জল ছাড়া শুরু করল ডিভিসি। এদিন মাইথন থেকে 27 হাজার 697 কিউসেক এবং পাঞ্চেত থেকে 29 হাজার 951 কিউসেক জল ছাড়া হয়। নদী তীরবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিন বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আরামবাগের ত্রান শিবিরেও গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেছেন বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে। দুপুরে নিজে হাত খাবার পরিবেশনও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দেখুন খবর: