কলকাতা: সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আরজি কর (RG Kar Case) ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়ের শাস্তি ঘোষণা করবে শিয়ালদহ আদালত। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় সঞ্জয় ঘোষকে। গ্রিন করিডর করে সঞ্জয়কে আদালতে আনা হয়েছে। এদিন শুরুতে সঞ্জয় ও তাঁর আইনজীবী কবিতা সরকারের কথা শুনবেন বিচারক অনির্বাণ দাস (Judge Anirban Das)। এদিন সকাল থেকে নিরাপত্তার কড়া চাদরে মোড়া শিয়ালদহ আদালত (Sealdah Court) চত্বর। আদালতের সামনে রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা। ডিসি গৌরব লাল থেকে ইন্সপেক্টর এবং এসআই পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক এবং কর্মীরা রয়েছেন। খতিয়ে দেখা হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
গত শনিবার ১৬২ দিনের মাথায় আরজি কর মামলায় সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করেছিল শিয়ালদহ আদালত। সে দিন সঞ্জয় আদালতে নিজেকে নির্দোষ বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তারপরই সঞ্জয়ের উদ্দেশে বিচারক দাস বলেছিলেন,আমি সমস্ত তথ্য প্রমাণ পরীক্ষা করে দেখেছি আপনিই দোষী। শাস্তি আপনাকে পেতেই হবে।’’ বিচারকের পর্যবেক্ষণ, গত বছরের ৯ অগস্ট ভোরে সঞ্জয় আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হলে ঢুকেছিলেন। এক মহিলা চিকিৎসককে তিনি আক্রমণ করেন, তাঁর মুখ এবং গলা টিপে ধরেন। পরে ওই চিকিৎসক মারা যান।
আরও পড়ুন: আজ ধৃত সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা, নির্যাতিতার বাবা-মায়ের কথাও শুনবেন বিচারক
আরজি করের (RG Kar Case) ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে ৫ মাস ৯ দিন পর গত শনিবার রায় ঘোষণা করেছিলেন বিচারক অনিবার্ণ দাস। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬, ১০৩(১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় সঞ্জয় রায়কে। এই ধারা অনুযায়ী যাব্বজীবন কারাবাস অথবা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে সঞ্জয়ের। আজ সোমবার এই মামলার সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক। সমস্ত তথ্য প্রমাণ ও সাক্ষীর ভিত্তিতে সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে শিয়ালদহ আদালত। রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা। কাঁদতে কাঁদতেই বিচারককে ধন্যবাদ জানান নির্যাতিতার বাবা। তিনি বিচারকের উদ্দেশে বলেন, আপনার উপর যে আস্থা ছিল, তার পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছেন। আমাদের বিশ্বাসকে সম্মান করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ বিচারক দাস প্রত্যুত্তরে বলেন, সোমবার আসুন।
দেখুন অন্য খবর