ইম্ফল: উত্তপ্ত মণিপুরে (Manipur) স্থিতবস্থার কোনও লক্ষণ নেই। জাতি হিংসায় বিধ্বস্ত এই পাহাড়ি রাজ্যটি দীর্ঘ দেড় বছর ধরে অগ্নিগর্ভ। কুকি (Kuki) ও মেইতেই (Meitei) জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে বহু মানুষের মৃত্যু, ভিটেমাটি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় রয়েছে বহু স্থানীয় মানুষ। মানুষের মধ্যে সব সময় একটা ভয় আতঙ্কের অবস্থা রয়েছে। উত্তেজনার আবহে পূর্ব ইম্ফলের (East Imphal) মাকউ (Makau) পোরবিতে (Porbi) দুটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের হদিশ পায় পুলিশ।
উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র, নথিপত্র এবং দু’টি গাড়ি। জানা গেছে ওই নিষিদ্ধ সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠনের নাম (Banned militant organizations) ‘কাংলেই ইয়াওল কাননা লুপ’ (কেওয়াইকেএল) এবং ‘পিপল্স রেভলিউশনারি পার্টি অফ কাংলেইপাক’ (প্রিপাক)। প্রিপাক-এর তিন জঙ্গিকে ইতিমধ্যই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে পূর্ব ইম্ফলে ধরা পড়েছেন কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টির গেরিলা বাহিনীর ন’জন সদস্যও।
আরও পড়ুন: দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল চলন্ত গাড়ি, বাইপাসের ধারে চাঞ্চল্য
গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে অস্থির পরিস্থিতিতে মণিপুর। মহিলাদের ওপর অত্যাচার, শিশুদের প্রাণহানি ঘুম কেড়েছে কেন্দ্রের। রাজ্যের পাঁচ জেলায় জারি আছে কারফিউ। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা।
গত ১৪ নভেম্বর নতুন করে মণিপুরের ছ’টি থানায় আফস্পা কার্যকর করার বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম ইম্ফলের সেকমাই ও লামসাং, পূর্ব ইম্ফলের লামলাই, বিষ্ণুপুরের মইরাং, কাংপোকপির লেইমাখং এবং জিরিবাম থানা এলাকায় নতুন করে আফস্পা চালু করা হয়েছে।
দিল্লির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং সরকার জানিয়েছে, রাজ্য মন্ত্রিসভা চায় আফস্পা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হোক। আফস্পা জারি থাকলে, সেনা সম্পূর্ণরূপে নিজেদের মতো কাজ করতে পারে। রাজ্য সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না সেনাবাহিনীর উপর। মণিপুরবাসীও বার বার আফস্পা প্রত্যাহারে দাবিতে সরব হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর-