লখনউ: চলে এল সেই প্রতীক্ষিত দিন। একবছর আগে এক জৌলুসপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সাক্ষী ছিল উত্তরপ্রদেশ (Uttarpradesh)। এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে রাম মন্দিরের (Ram Mandir)। আগামী ১১ জানুয়ারি সেই অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকবে গোটা দেশ। আমন্ত্রিত থাকবেন দেশ বিদেশের একাধিক বিশিষ্ট অতিথিরা।
সেই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি তুঙ্গে। নতুনভাবে সেজে উঠছে রাম জন্মভূমি অযোধ্যা (Ayodhya) । এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে রাম মন্দিরে রাম লালার (Ram lala) প্রতিষ্ঠার। সেই উপলক্ষে এক বিরাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বাবা বদলেছেন অতিশী’ ফের বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি নেতা বিধুরির
রাম মন্দিরে আগামী ১১ জানুয়ারি রামলালার অভিষেক করবেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিন দিন ধরে বিরাট আয়োজনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই বিশেষ অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছে প্রতিষ্ঠা দ্বাদশী। সকাল ১১টায় গর্ভগৃহে শ্রীরাম লালার পবিত্র অভিষেক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর তিনি অঙ্গদ টিলায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন এবং ভক্তদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন তিনি। শিল্পীদের মধ্যে থাকছেন সোনু নিগম, শঙ্কর মহাদেবন এবং মালিনী অবস্থি সহ আরও বহু শিল্পী। ভক্তিমূলক গানও সেই অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রকাশ করবেন।
শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক শ্রী চম্পত রাই জানিয়েছেন, পৌষ মাসের শুক্ল পক্ষ, দ্বাদশী, বিক্রম সংবত উপলক্ষে ভারতীয় সংস্কৃতি ও সনাতন ধর্মের পৃষ্ঠপোষক মর্যাদা পুরুষোত্তম ভগবান শ্রী রামের পবিত্র জন্মস্থান অযোধ্যা ধাম-এ নবনির্মিত মন্দির প্রতিষ্ঠার এক বছর পূর্ণ হয়েছে।’
‘মন্দিরের গর্ভগৃহের কাছে একটি প্যাভিলিয়নে তিন দিনের শ্রী রাম রাগ-সেবা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমির সহায়তায় অযোধ্যা শিল্পী যতীন্দ্র মিশ্রের নেতৃত্বে এই উদ্যোগটি সঙ্গীত, নৃত্য এবং বাদ্যযন্ত্র পরিবেশনার মাধ্যমে ভগবান শ্রী রামকে ভক্তিমূলক নৈবেদ্য প্রদান করা হবে
উল্লেখ্য, গত ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাম মন্দিরের উদ্বোধন করেন। এবার তিন দিনের অনুষ্ঠান চলাকালীন প্রথম দিন, ১১ জানুয়ারি, কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকরের বোন প্রখ্যাত গায়িকা ঊষা মঙ্গেশকরের গাওয়া রাগ সেবা দিয়ে উৎসবের সূচনা হবে এবং তাঁর সঙ্গে থাকবেন ময়ূরেশ পাই, যিনি ভক্তিমূলক ভজন পরিবেশন করবেন।
এর পরে থাকবে সাহিত্য নাহারের সেতারের একটি প্রাণবন্ত দ্বৈত সঙ্গীত (যুগলবন্দী) এবং সন্তোষ নাহারের বেহালা। ডঃ আনন্দ শঙ্কর জয়ন্তের চিত্তাকর্ষক ভরতনাট্যম নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে প্রথম দিনের অনুষ্ঠান শেষ হবে। ১২ জানুয়ারি থাকবে সঙ্গীতজ্ঞ রাকেশ চৌরাসিয়ার একটি মনোমুগ্ধকর বাঁশি ও ১৩ জানুয়ারি আরতি আঙ্কলিকারের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে। ওই দিন থাকবে নৃত্যশিল্পী শোভনা নারায়ণের কত্থক পরিবেশনা।
দেখুন অন্য খবর: