ওয়েব ডেস্ক: স্কুল পড়ুয়াদের পাতে পুষ্টিকর আহার পরিবেশনই ‘মিড ডে মিল’ (Mid Day Meal) এর মূল লক্ষ্য। তবে এবার এই লক্ষ্য খানিক ভ্রষ্ট হল। ধরা পড়ল এক উল্টো ছবি। কুকুরের মুখ দেওয়া খাবারই পরিবেশন করা হল স্কুল পড়ুয়াদের পাতে। পড়ুয়ারা রাঁধুনিদের এই কথা জানালেও কানেই তোলেননি তারা। বরং অভিযোগ অস্বীকার করে পড়ুয়াদের পেটে গেল কুকুরের এঁটো করা খাবারই। পুষ্টিকর খাবারের পরিবর্তে শেষমেষ ৭৮ জন পড়ুয়াকে নিতে হল অ্যান্টি রেবিস ভ্যাকসিন (Anti Rabies Vaccine)।
সূত্রের খবর, গত ২৯ জুলাই ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিসগড়ের বালোদাবাজার জেলার লচ্ছনপুর গ্রামের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। রোজের মতো ওই দিনও স্কুলে মিড ডে মিল তৈরির আয়োজন করছিলেন রাঁধুনিরা। রান্নার সবজি ভেজে একটি পাত্রে তুলে রাখা হয়েছিল। চলছিল অন্য রান্না। সেই সময়েই রান্নাঘরে ঢুকে পড়ে একটি কুকুর। রাঁধুনিদের চোখকে ফাঁকি দিয়েই ভেজে রাখা সবজিতে মুখ দেয় ওই কুকুরটি। রান্না করা খাবারে কুকুর মুখ দিচ্ছে দেখতে পেয়েই কুকুরটিকে রান্নাঘর থেকে তাড়ানোর ব্যবস্থা করে পড়ুয়ারা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা এই বিষয়টি মিড-ডে মিল তৈরির দায়িত্বে থাকা রাঁধুনিদের জানায়। যদিও পড়ুয়াদের অভিযোগ কানেই তোলেননি রাঁধুনিরা।
আরও পড়ুন: মোদির ‘বদনাম’ না-পসন্দ! নিজের দলনেতাকেই নিশানা শশী থারুরের
খাবার সময় ওই একই খাবার দেখে পড়ুয়ারা শিক্ষকদের কানে তোলে বিষয়টি। তারপরই হৈচৈ পড়ে যায়। এমনকি শিক্ষকরা ওই রাঁধুনিদের জিজ্ঞাসা করলে তারা ‘খাওয়ার যোগ্য’ বলে উড়িয়ে দেয় অভিযোগ। যদিও তারপর মিড-ডে মিল পরিবেশন বন্ধ করার নির্দেশ দেন শিক্ষকরা। কিন্তু ততক্ষণে প্রায় ৭৮ জন পড়ুয়ার পেটে ওই খাবার চলে গিয়েছে। পড়ুয়ারা তাঁদের অভিভাবকদের বিষয়টি জানালেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। এই ঘটনার বিহিত করতে তাঁরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে স্কুল পরিচালন কমিটিতে মিড-ডে মিলের দায়িত্বে থাকা সেল্ফ হেল্প গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তাঁদের কাজ থেকে সরানোর দাবি তোলেন।
অন্যদিকে, ওই ৭৮ জন পড়ুয়ার স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে তাঁদের অ্যান্টি রেবিস ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও তার আগে স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে কর্তৃপক্ষ। গতকাল শনিবার এই অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত করতে ওই স্কুলে পৌঁছন সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট দীপক নিকুঞ্জ, ব্লক শিক্ষা কর্মকর্তা নরেশ ভার্মা এবং অন্যান্য কর্মকর্তা। পড়ুয়া, অভিভাবক, শিক্ষক এবং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেন তাঁরা। তবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ। যদিও স্থানীয় বিধায়ক সন্দীপ সাহুও তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন।
দেখুন অন্য খবর