নদিয়া: মহকুমা শাসকের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণার ছক। সেই ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারিত হয়ে টাকা খোয়ালেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। হাঁটরা চর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরুন কুমার দে। মহকুমা শাসকের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে প্রতারিত হয়ে সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
প্রতারিত প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, কিছুদিন আগে কৃষ্ণনগরের মহকুমা শাসক শারদ্বতী চৌধুরীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তার কাছে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসে। কয়েকদিন পর তিনি তা অ্যাকসেপ্ট করেন। এরপর, গত ২৬ জুলাই সকালে মেসেঞ্জারে তাঁর মোবাইল নম্বর জানতে চান। কিছুক্ষণ পর তিনি মোবাইল নম্বর দেন। তারপর তিনি মেসেজে জানান, তার এক বন্ধু সন্তোষ কুমার, তিনি একজন সিআরপিএফ অফিসার, তাঁর বদলি হচ্ছে। তাই তিনি ঘরের আসবাবপত্র বিক্রি করতে চান। সেগুলি খুব ভালো ও দামেও অনেক সস্তা। কিনতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: ডিভিসির উপর ফের ক্ষুব্ধ নবান্ন
এরপর ঐ শিক্ষক আগ্রহের সঙ্গে মহকুমা শাসকের মোবাইল নম্বর জানতে চান। উত্তরে তিনি লেখেন তিনি এখন মিটিং-এ ব্যস্ত আছেন যখন ফ্রি হবেন তখন ফোন করবেন। এরপর একটি অজানা নম্বর থেকে সন্দীপ কুমার, সিআরপিএফ অফিসার পরিচয় দিয়ে ওই শিক্ষকের কাছে ফোন আসে। তিনি ওই শিক্ষককে হোয়াটসঅ্যাপে আসবাবপত্রের ছবি পাঠান এবং ৮৫০০০/-হাজার টাকা দাম ধার্য করেন। ওই শিক্ষক কিনতে রাজি হয়ে যান। এরপর ওই ব্যক্তি তাকে অগ্রীম বাবদ ২০ হাজার টাকা পাঠাতে বলেন। ওই শিক্ষক তাকে ১০হাজার টাকা পাঠান। এরপর ওই সিআরপিএফ অফিসার পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি আসবাবপত্র প্যাকিং করার ছবি ও রোড চালান পাঠান এবং আরো ২০৫০০/- টাকা পাঠাতে বলেন। মহকুমা শাসকের মেসেঞ্জার অ্যাকাউন্ট থেকেও একই অনুরোধ করা হয়। এরপর ওই শিক্ষক প্রতারিত হচ্ছেন বুঝতে পেরে টাকা ফেরত চান। অভিযোগ, মহকুমা শাসককের ম্যাসেঞ্জারে মেসেজ করলে আর রিপ্লাই পাননি। ওই সিআরপিএফ অফিসার পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিও ফোন সুইচ অফ করে দেন। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে তিনি কৃষ্ণনগরের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে মহকুমা শাসকের নাম করে প্রতারণার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
যদিও, এই বিষয়ে মহকুমা শাসক জানিয়েছেন তাঁর একটিই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। কেউ যাতে ওই ফেক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রতারিত না হন সে বিষয়ে সচেতন করেছেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
দেখুন খবর