ঘাটাল: চিঠি (Letter)। বললেই প্রবীণ মানুষদের নস্ট্যালজিক করে তোলে। এই তো মোবাইল যুগের আগেও চিঠিই ছিল একমাত্র অবলম্বন। খোঁজ খবর নেওয়া। পুজোর পর বিজয়ার শুভেচ্ছা পাঠানো। চিঠিই ছিল ভরসা। কিন্তু আর সেদিন নেই। বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে চিঠির ব্যবহার। সমাজমাধ্যমের যুগে যা প্রায় অবলুপ্ত! চিঠিকেই এবার থিম হিসেবে তুলে ধরল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর সোনাখালি স্কুলপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। চিঠির সঙ্গে সুকান্ত ভট্টাচার্যের (Sukanta Bhattacharya) কবিতার (Poem) সংযোজন রয়েছে।
এবার তাঁদের পুজো ২০ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে । ঘাটালের বড় বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা রানার থেকে শুরু করে পুরনো দিনের চিঠির নানা কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে এবারের এই মণ্ডপসজ্জায়। থিমের সাথে সাযুজ্য রেখে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দেবী প্রতিমা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই সাবেকিয়ানার দুর্গাপ্রতিমাকে ভার্চুয়ালি দেখে বলেছিলেন গ্রামেও এত সুন্দর পুজো হতে পারে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে চার বছর পর ফিরলেন নওয়াজ শরিফ
সন্ধ্যে হলেই বাড়ছে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের থিক থিকে ভিড়। সপ্তমীতেই সেখানে আছড়ে পড়েছে জনস্রোত। গ্রাম বাংলার প্রান্তিক এলাকা থেকে মানুষ আসছেন মণ্ডপ দর্শন করতে। নবমী থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আগেভাগেই মানুষ প্যান্ডেল হপিং সেরে নিতে চাইছেন। শহরের মতো এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই জেলাও।
আরও খবর দেখুন