ওয়েবডেস্ক- অভিশপ্ত বিমান দুর্ঘটনা (Plane Crash)। বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা ১০ মিনিটে বিকট শব্দ, তার পরেই কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি ! সব শেষ ! টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যে ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার ৭৮৭-৮ ড্রিম লাইনার বিমানটি। ২৪২ জন যাত্রীকে নিয়ে উড়েছিল বিমানটি। কিন্তু গন্তব্যের বহু দূর আগেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল। চারিদিকে শুধুই ধবংসাবশেষ।
যে ভয়াবহ কাণ্ড ঘটেছে তার মধ্যে সকল যাত্রীরই মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহমদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রিবাহী বিমান।
ওই বিমানে বহু যাত্রী ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। ছিলেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি (Former Gujarat Chief Minister Vijay Rupani) , সহ হেভিওয়েটরা। বিজয় রূপানি লন্ডনে তার পরিবারের কাছে যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন- দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল, বিমানকর্মীদের তালিকা প্রকাশ্যে
এআই ১৭১ নম্বরের এই বিমানটি দুপুর ১টা ১০ মিনিটে আহমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ে। ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই মেঘানিনগরের জনবহুল এলাকার মধ্যেই ভেঙে পড়ে বিমানটি।
এই বিমান দুর্ঘটনার সময় পাইলট যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তার মুখ থেকে একটি শব্দ বের হয়, সেই শব্দটি ছিল ‘MAY DAY CALL’ . এই কথার অর্থ কি? এই কথার অর্থ চূড়ান্ত সময় এসে গেছে। এখন চূড়ান্ত এমারজেন্সি। তার পর কিছু বলতে শোনা যায়নি।
‘মে ডে” আমাদের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি দুর্দশার সংকেত। এটি একটি বিপদের পরিস্থিতি নির্দেশ করে। মেডে” শব্দটি এসেছে ফরাসি শব্দ “m’aider” থেকে। যার অর্থ আমাকে সাহায্য করুন।‘ পাইলটরা রেডিওর মাধ্যমে এটি ব্যবহার করে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ বা NEA কে সতর্ক করে। একটি জরুরি অবস্থা, যা তৎক্ষণাৎ সাহায্যের প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, ভেঙে পড়ার পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়েছে দ্রুত পৌঁছায় দমকল। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিমানটি ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি ভেঙে পড়ে। ফলে সেটি বেশি উচ্চতায় পৌঁছোতে পারেনি। অনেকেরই আশঙ্কা, লোকালয়ে থাকা অনেকেরই প্রাণহানি হতে পারে। বিমানটিতে ৫৪ জন ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন, ১৭২ জন ভারতীয়, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডিয়ান নাগরিক ছিলেন। হতাহতের সংখ্যা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি বিবৃতি পাওয়া যায়নি। আমদাবাদে ডাক্তারদের হস্টেলে ধাক্কা দুর্ঘটনাগ্রস্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের। তাঁদের মধ্যে ৫০ জনের মৃত্য়ুর আশঙ্কা। আহত ১৫ জুনিয়র ডাক্তার।
দেখুন আরও খবর