মালদা: বিরোধী দল-নেত্রীর অপসারণ নিয়ে অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূলের (TMC) অন্দরে। বেআইনি জমি দখল, কাটমানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দুর্নীতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন বিরোধী দল-নেত্রী। তাই দাপুটে এক জেলা নেতৃত্বের অঙ্গুলিলেহনে ব্লক নেতৃত্বের সম্মতি ছাড়াই অনাস্থা করে সরানো হলো বিরোধী দল-নেত্রীকে। এমনটাই বিস্ফোরক অভিযোগ বিরোধী দল-নেত্রী এবং তাঁর স্বামীর।প্রকাশ্যে আসছে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। অপসারিত বিরোধী দল-নেত্রী এবং তাঁর যুবনেতা স্বামীর পাশে ব্লক নেতৃত্ব। পাল্টা সাফাই দেওয়ার চেষ্টা অঞ্চল সভাপতির।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এই মুহূর্তে কংগ্রেস সিপিএম বিজেপি জোটের দখলে রয়েছে।তৃণমূল রয়েছে বিরোধী আসনে। সেই পঞ্চায়েতে বিরোধী দল-নেত্রী ছিলেন এলাকার যুব তৃণমূল নেতা পূজন দাসের স্ত্রী মন্দিরা দাস। যিনি কাশিমপুর বুথ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের কিছু দিন পরেই তৃণমূলের আট সদস্য মন্দিরা দাসকে বিরোধী দল-নেত্রীর পদ থেকে সরানোর জন্য অনাস্থা আনেন। সেই জায়গায় নতুন বিরোধী দল-নেত্রী হন নাসিমা খাতুন। এই ঘটনা নিয়ে দলের অন্দরে শুরু হয়েছে জোড় বিতর্ক। অপসারিত বিরোধী দল-নেত্রী এবং তাঁর স্বামীর প্রশ্ন কোনও কিছু না জানিয়ে কী কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। কারা নিল এই সিদ্ধান্ত। যদিও লোকসভার ফলাফলের নিরিখে ধরা হয় তবে সমগ্র হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের। অঞ্চল সভাপতির বুথেও পর্যুদস্ত হয়েছে তৃণমূল। সেই নিরিখে কাশিমপুর বুথে প্রাপ্ত ভোটের হার বেশি। মন্দিরা দাস এবং পূজনের অভিযোগ, অঞ্চল সভাপতি ঠিকাদার সঞ্জীব গুপ্তা তাদের কাছে কাজ এবং কাটমানির দাবি করছিলেন। সাথে দলেরই কিছু নেতার মদতে এলাকা জুড়ে জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য চলছে। যদিও কে সেই দাপুটে নেতা প্রকাশ্যে এই নিয়ে মুখ খুলেননি মন্দিরা দাস। সূত্রের খবর, ব্লক সভাপতিও এই বিষয়ে কিছু জানতেন না। তবে ব্লক সভাপতি জিয়াউর রহমান ক্যামেরার সামনে প্রতিক্রিয়া দেননি। কিন্তু শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতি সাহেব দাস, মন্দিরা দাস এবং পূজন দাসের অভিযোগে শিলমোহর দিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। যদিও অঞ্চল সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তার দাবি, এটা সদস্যদের সিদ্ধান্ত।এর পেছনে তাঁর কোনও হাত নেই। গোটা ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতোর।
আরও পড়ুন: পাঁচ মাস পরে জেল থেকে ছাড়া পেলেন আরাবুল
আরও খবর দেখুন