ওয়েব ডেস্ক: একের পর এক মিত্রদেশকে দলে টানছে ইউক্রেন, বিপাকে রাশিয়া? নাকি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুয়াত?একের পর এক মিত্রদেশকে দলে টানছে ইউক্রেন, বিপাকে রাশিয়া? নাকি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুয়াত?রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে উত্তর কোরিয়ার প্রায় দশ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে এমনই দাবি করেছেন জালুঝনি। ওই সৈন্যরাই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে জোর দিয়েছে বলেছেন দেশের প্রাক্তন সেনাপ্রধান। ইরানকেও ছেড়ে কথা বলেননি জালুঝনি। ইউক্রেনে ইরানিরা নাকি প্রকাশ্যে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। কথার যুদ্ধে বাড়ছে উত্তাপ।
দিন দিন জটিল থেকে জটিলতর হয়ে চলেছে ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি। যুদ্ধ মূলত রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে হলেও ক্রমশ জড়িয়ে পড়ছে দুই দেশের মিত্রদেশ গুলিও। ২০২২ সালে ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করেছিল রাশিয়া। সেই সময় ইউরোপের সামরিক বাহিনীর প্রধান ছিলেন ভ্যালেরি জালুঝনি। তবে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বরখাস্ত হন তিনি। ইউক্রেনের সামরিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি ব্রিটেনে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধি করছে ইরান, আমেরিকার বিপদ বাড়বে?
উত্তেজনা শুরু হয় যখন আমেরিকা তাদের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনকে ব্যবহারের অনুমতি দেয়। এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েই রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে হামলা চালায় ইউক্রেনের সেনারা। তারপরই ‘ওরশেনিক’ নামক একটি ভয়ঙ্কর ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে পাল্টা হামলা করে পুতিনের অনুগামী সেনারা। আসলে, এটি রাশিয়ার ইউক্রেন ও তার মিত্র দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি। বাড়াবাড়ি করলেই ইউক্রেন ও বন্ধু ন্যাটো জোটের দেশগুলির উপর সামরিক হামলা করবে রাশিয়া।
এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের মিত্রদেশগুলিকে ‘সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জালুঝনি। যুদ্ধ যেন ইউক্রেনের সীমা না ছাড়ায় সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন,যুদ্ধকে ‘ এই যুদ্ধ ইউক্রেনের ভূখণ্ডে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব। কিন্তু কোনও কারণে, আমাদের মিত্ররা তা বুঝতে চাইছে না। স্পষ্টতই, যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনকে অনেক শত্রুর সঙ্গে লড়তে হচ্ছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ইউক্রেন টিকে থাকবে। তবে, একা একা এই যুদ্ধে জিততে পারবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।’
দেখুন আরও খবর: