হাওড়া: হাওড়া পাইকারি সবজি বাজারে ছোট ছোট সবজি ব্যবসায়ীদের উপর জুলুমবাজির অভিযোগ। আর সেই ঘটনার প্রতিবাদে আজ বাজারের কুলি ইউনিয়নের নেতাদের বিরুদ্ধে তারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা জানিয়েছেন যদি এখনই তাদের থেকে মোটা টাকা নেওয়া বন্ধ না হয় তবে তারা বাজারে কাঁচা আনাজ সরবরাহ বন্ধ করে দেবেন।
হাওড়া স্টেশন লাগোয়া পাইকারি সবজি বাজারে প্রতিদিন কয়েক হাজার সবজি ব্যবসায়ী পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে কাঁচা সবজি এনে ব্যবসা করেন। এইসব ছোট ব্যবসায়ীরা বর্ধমানের পূর্বস্থলী, কাটোয়া, সমুদ্রগড়, হুগলির জিরাট, গুপ্তিপাড়া, হরিপাল, তারকেশ্বর সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে লাউ, বেগুন, পটল, ঝিঙে, কাঁচালঙ্কা, শসা, ডাঁটা, কুমড়ো, কচু, ওল, পালং , ফুলকপি বাঁধাকপি সহ বিভিন্ন কাঁচা সবজি ট্রেনে করে হাওড়া স্টেশনে আনেন।সেখান থেকে কুলিরা সমস্ত আনাজ স্টেশনের বাইরে নিয়ে আসেন।এরপরই সবজি বাজারের নীল কুলিরা সেইসব আনাজ ৫০০ মিটার দূরে বাজারে বয়ে নিয়ে আসেন। ছোট ছোট সবজি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ গত কয়েক দিন ধরে নীল কুলিরা তাদের ওপর জুলুম করছে। তাদের থেকে মোটা টাকা দাবি করছে। আগে যেখানে বস্তা পিছু ১০০ টাকা দিতে হতো এখন তা বাড়িয়ে ১৫০ টাকা চাইছে।কখনো তার বেশি চাইছে। শুধু তাই নয়, আগে যেখানে বাজারে মাল বিক্রির পর টাকা দিতে হতো এখন সেখানে আগে থেকেই তাদের টাকা জমা দিতে হচ্ছে। না দিলে সবজির বস্তার গঙ্গার ধারে ফেলে রাখছে। এতে টাটকা সবজি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে বাজারে দাম পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে ‘সংখ্যালঘু’দের ব্রাত্য রেখেই ময়দানে ঝাঁপাবে রাজ্য বিজেপি! বিতর্ক
তারা জানিয়েছেন যদি অবিলম্বে তাদের ওপর টাকা নিয়ে জুলুমবাজি বন্ধ না হয় তবে তারা বাজারে সবজি নিয়ে আসা বন্ধ করে দেবে। সে ক্ষেত্রে বাজারে কাঁচা আনাজের দাম আরো বাড়তে পারে তা বলাই বাহুল্য। আজ নীল কুলিদের সংগঠন হাওড়া স্টেশন আনলাইসেন্সড পোটার ইউনিয়নের নেতারা বাজারে পৌঁছালে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় ব্যবসায়ীরা। ওই ইউনিয়নের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি লালমোহন সিংহ বলেন কোন কুলি যদি অতিরিক্ত টাকা দাবি করে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই নিয়ে সবজি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শীঘ্রই তারা বৈঠকে বসবেন।
দেখুন অন্য খবর