
কলকাতা: দলের মধ্যে সংখ্যালঘু বির্তকে রাজ্য বিজেপি (State BJP)। নেতারা বলে দিয়েছেন , সংখ্যালঘু (Minorities) এলাকায় বুথ কমিটি দরকার নেই । তার মানে এই রাজ্যের ২৯৪ আসনের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসনে সংখ্যালঘু ভোটে জয় পরাজয় ঠিক হয়। বিজেপি (Bjp) কি সেখানে শূন্য থাকবে ?
দলের মধ্যে সংখ্যালঘু সেল আছে। একসময় তারা সক্রিয় ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতাদের মনোভাবে এই সেল উঠে যাওয়ার দশা। বৈঠক হয় না বহু দিন। রাজ্য নেতারা খোঁজ নেয় না এই সেল কি করছে ।
২০১৯ , ২০২১-এর নির্বাচনে এই সেল ই রাজ্য জুড়ে প্রচার করেছিল, তিন তালাক সহ সংখ্যালঘুদের জন্য মোদি কিভাবে কাজ করেছেন। তবে ২০২৬ নির্বাচন আগে কেন এই সিদ্ধান্ত ?
আরও পড়ুন: রাজ্য বিধানসভায় শুরু বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব
দলের মধ্যে এই প্রশ্ন উঠেছে। কেউ কেউ এই সিদ্ধান্ত থেকে দলকে সরে আসতে বলে আরএসএস সাহায্য চেয়েছে। তাদের প্রশ্ন , সংখ্যালঘু ভোট বাদ দিয়ে এই রাজ্য ক্ষমতায় আসা যাবে না ।
হিসাব অনুসারে, ২৯৪ আসনের মধ্যে সংখ্যা লঘু এলাকা বাদ দিলে ১৯৬ থেকে ২০০ আসন থাকে । এই সংখ্যা আসনে লড়াই করে কি করে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে? তাই অনেকে ভাবছে , ক্ষমতায় আসা এবারও বিজেপির পক্ষে খুব কঠিন ।
বিগত বেশ কয়েকটি নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা করে বিজেপির পর্যবেক্ষণ, বাংলায় সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূল ভোট বাক্সেই যায়। কিন্তু উলটোদিকে হিন্দুভোট একজোট হচ্ছে না। ফলে তৃণমূলের সঙ্গে এই সংখ্যালঘু-হিন্দুর দোটানায় এঁটে উঠতে পারছে না বিজেপি।
রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সহ সভাপতি রাজকমল পাঠকের কথায়, এ রাজ্যের একশোটির বেশি আসনে সংখ্যালঘুরা নির্ণায়ক ভূমিকায়। এই আসনগুলিকে ব্রাত্য রেখে বাংলা দখলের লক্ষ্য কোনওদিন পূরণ করা সম্ভব নয়। অপরদিকে শুভেন্দুর বক্তব্য, যাঁরা বিজেপিকে ভোট দেন না, বিজেপিও তাঁদের সঙ্গে নেই। বিজেপির অন্দরের অনেক নেতার বক্তব্য, এইভাবে সংখ্যালঘুদের দূরে না ঠেলে তাদের কাছে টানতে হবে। তবে ব্যালট বাক্স ভরবে।
দেখুন অন্য খবর: