ওয়েব ডেস্ক: সামনেই দুর্গাপুজো। পুজো মানেই লম্বা ছুটি। তা এই ছুটি কাটাতে আপনারও কী ভ্রমণের প্ল্যান (Tour Plan) রয়েছে? ছুটে যেতে ইচ্ছা করছে অচেনা কোনও জায়গায়? যেখানে মনের মানুষের সঙ্গে নিরিবিলিতে একান্ত যাপন করবেন। আবার প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্যে মুগ্ধও হবেন! অনেকেই একটানা ছুটি পেলে মেঘের সঙ্গে বন্ধু পাতাতে মেঘালয়ে পাড়ি দেন। পাহাড়ি ঝর্না ও জলপ্রপাতে ঘেরা এই রাজ্য নিঃসন্দেহে সুন্দর। মেঘালয় ভ্রমণে যাবেন অথচ চেরাপুঞ্জি যাবেন না, এমন মানুষ নেহাতই কম। তবে ছুটির দিনে ভিড়ও হয় প্রচুর। মনের মানুষের সঙ্গে একান্ত সময় যাপনে ততটা উপযুক্ত নয়। চিন্তা নেই! মন যদি মেঘালয়ের দিকেই টানে তাহলে ঘুরে আসতে পারেন এই তিনটে গ্রাম থেকে। শহরের কোলাহল থেকে দূরে। গ্রাম্য নিরিবিলি পরিবেশে কাটাতেই পারেন এই পুজোর ছুটিটা।
ওয়াখেন
শিলং থেকে প্রায় ৪৮ কিলোমিটার দূরে পাহাড়-ঘেরা শান্ত গ্রাম ওয়াখেন (Wahkhen)। ওয়ারেউ নদীর কলতান এই গ্রামকে আরও মনোরম করে তুলেছে। এখান থেকেই শুরু হয় এক ট্রেকপথ। সম্পূর্ণ বাঁশ দিয়ে বানানো এক স্কাইওয়াক। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে সেই পথে হেঁটে পৌঁছে যাওয়া যায় মাওমোট ভিউপয়েন্টে। ফেরার পথে নদীর ধারে বসে ঠান্ডা স্বচ্ছ জলের স্বাদ নেওয়া বা স্থানীয় খাবারের দোকানের কিছু চেখে দেখা দুটোই এক বিশেষ অভিজ্ঞতা।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীতে সুখের দিন আসছে এই পাঁচ রাশির
মইরাং
গুয়াহাটি থেকে শিলং পেরিয়ে পৌঁছে যাওয়া যায় মইরাং-এ (Moirang)। মইরাং থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরের মারকাসা পর্যন্ত গিয়ে, ডানদিকের পথ ধরে এগোলে চোখের সামনে মাওফানলু হ্রদের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। জলের ধারে টিলায় বসে প্রকৃতির রূপে ডুবে যাওয়া বা অবসর সময়ে মাছ ধরা দুটোই এখানে সম্ভব।
কংথং
মেঘালয়ের হৃদয়জুড়ে লুকিয়ে আছে কংথং (Kongthong) নামের এক অদ্ভুত সুন্দর গ্রাম, যার অপর নাম জিংরেই ইয়াওবে। শিলং থেকে চেরাপুঞ্জি যাওয়ার পথে মাওরজং গ্রাম ছাড়িয়ে বাঁদিকের পথ ধরে প্রায় ২৫ কিলোমিটার গেলেই পৌঁছে যাবেন এখানে। পর্যটকদের জন্য গ্রামে একটি কটেজ আছে, আর এখানকার মানুষজন তাঁদের উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য বিখ্যাত।
দেখুন অন্য খবর